ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা: জিয়াসহ ৪ জঙ্গির বিচার শুরুর আদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন, ২০২৪ ৫:২৪ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৭ বার পঠিত
প্রান্তডেস্ক:আট বছর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র, ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যার ঘটনায় চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ চারজনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ৬ আগস্ট দিন রেখেছেন তিনি।
জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর ৩ আসামি হলেন- রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মো. শেখ আব্দুল্লাহ ও আকরাম হোসেন। তবে এ মামলায় নাম আসা মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান, ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক।
অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক কমান্ডার বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য। ছয় মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় মাথায় নিয়ে তিনি পলাতক রয়েছেন। আরেক আসামি আকরাম হোসেনও পলাতক।
এদিন কারাগারে থাকা দুই আসামি রায়হান ও শেখ আবদুল্লাহকে এজলাসে তোলা হয়। তাদেরকে অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে জানতে চাওয়া হয় তারা দোষী কি না। এ সময় দুই জনই নিজেদের নির্দোষ দাবী করে ন্যায়বিচার চান বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম জানান।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, আসামি রায়হান ও শেখ আবদুল্লাহ হাকিমের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের পাশাপাশি মেজর জিয়া ও আকরামের সংশ্লিষ্টতার তথ্য দেন। কিন্তু তারা অব্যাহতি পাওয়া পাঁচ আসামির কথা বলেননি। এ মামলার অভিযোগপত্রের সাক্ষীরাও ১৬১ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ওই পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কিছু বলেননি। সে কারণে তাদের অব্যাহতি দেন বিচারক।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, রায়হান, আরাফাত রহমান ও মোজাম্মেল হুসাইন সায়মনের পক্ষে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। অব্যাহতির শুনানিতে আমি বলেছি, কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও তাদের নাম অভিযোগপত্রে দেওয়া হয়েছে। তাদের কথা এজাহারে ছিল না। কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তাদের নাম বলেনি। এদের অনেক নাম রয়েছে। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা সেই সুযোগ নিয়ে নিজে নতুন নাম বসিয়ে তাদের অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় যুক্ত করেছে।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাস শেষে ক্যাম্পাস থেকে গেণ্ডারিয়ার মেসে ফিরছিলেন নাজিম। পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে তাকে ছুরি মেরে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। সিলেট শাখা বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এই তরুণ। ফেইসবুকে ধর্মান্ধতা ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সমালোচনামূলক লেখালেখিতেও সক্রিয় ছিলেন।