আজ রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিক পূর্ণেন্দু দস্তিদার’র জন্ম দিন
প্রান্তডেস্ক:পূর্ণেন্দু দস্তিদার (২০শে জুন, ১৯০৯ — ৯ মে, ১৯৭১ ) একজন বাঙালি সশস্ত্র বিপ্লববাদী, রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিক।
প্রারম্ভিক জীবন
তাঁর জন্ম হয়েছিল চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামের ঐতিহাসিক দস্তিদার পরিবারে। পটিয়ার বিখ্যাত এ রাজনৈতিক পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শহীদ বিপ্লবী অর্ধেন্দু দস্তিদার, প্রখ্যাত পিকিংপন্থী দুই কমিউনিস্ট নেতা সুখেন্দু দস্তিদার ও শরদিন্দু দস্তিদার, কবি ত্রিদিব দস্তিদার প্রমুখ। পিতার নাম চন্দ্রকুমার দস্তিদার এবং মাতার নাম কুমুদিনী দস্তিদার। চট্টগ্রাম কলেজ চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯২৭ সালে প্রথম বিভাগে আই.এস.সি. পাশ করে যাদবপুরে ভর্তি হন। ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে প্রবেশ করে বি পি এস এর নেতৃস্থানীয় কর্মী হয়েছিলেন এবং সমগ্র চট্টগ্রাম জুড়ে চলা তীব্র স্বাধীনতা আন্দোলন এর সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের পরিবারের সাথে আত্মীয়তা ছিল। তাকে বিপ্লবী আন্দোলনে আনার কৃতিত্ব অনেকটাই পূর্ণেন্দু দস্তিদারের। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন আইনজীবী।
সশস্ত্র আন্দোলন
মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহে যোগদান করেন বিপ্লবী পূর্ণেন্দু। ১৮ এপ্রিল, ১৯৩০ চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানে সক্রিয় অংশ নেন এবং ধরা পড়ে দীর্ঘকাল কারান্তরালে থাকতে হয় তাকে। তার এক ভাই অর্ধেন্দু দস্তিদার জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধে শহিদ হন। অপর ভাই সুখেন্দু দস্তিদার চট্টগ্রাম বিদ্রোহের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি তথা পরবর্তীকালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের নেতা ছিলেন। পূর্ণেন্দু জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সংসদীয় রাজনীতিতে অংশ নেন ও পূর্ববঙ্গ বিধানসভার সদস্য হন। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি হলে, তাকে আবার জেলে যেতে হয়। মুক্তি পেলেও তাকে অন্তরীণ অবস্থায় রাখে আইয়ুব খান শাসিত সরকার। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে ন্যাপের (ওয়ালি) প্রতিনিধি ছিলেন। চট্টগ্রাম এলাকায় ছাত্র-শ্রমিক-কৃষকদের সংগঠনের কাজে যুক্ত ছিলেন। দেশভাগের পরে পাকিস্তানি শাসনামলে দীর্ঘ সময় জেল খেটেছেন তিনি। জেলে থাকাকালীন বি.এ ও আইন পাশ করেন। আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবী হিসেবেও তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত ছিলেন বাংলাদেশে। প্রীতিলতা ও ভাই অর্ধেন্দুর পুণ্য স্মৃতিতে তার প্রতিষ্ঠিত শহিদ মিনার ও স্মারকটি আজো বাংলাদেশে বিরাজমান।

সাহিত্য
সাহিত্যিক হিসেবে তার বিশেষ খ্যাতি ছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম, কবিয়াল রমেশ শীল, বীরকন্যা
মৃত্যু
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্যে ভারত অভিমুখে রওনা দেন। ৯ মে, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পথিমধ্যে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু ঘটে।