২০১২ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন গায়ক ও গজলশিল্পী মেহেদী হাসান। তার জন্ম ১৯২৭ সালের ১৮ জুলাই ভারতের রাজস্থানে। তিনি গজলসম্রাট নামেই সমধিক পরিচিত। তার বাবার নাম ওস্তাদ আজিম খান। বাবার কাছেই তার সংগীতে হাতেখড়ি। শৈশব থেকেই তিনি সংগীত পরিবেশন করতেন। ভারত বিভাজনের পর ২০ বছর বয়সে তিনি ও তার পরিবার পাকিস্তানে অভিবাসিত হন। সেখানে তাকে ব্যাপক অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগতে হয়। তিনি একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করতেন। আর্থিক অসচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও সংগীতচর্চা করতে থাকেন। ১৯৫২ সালে প্রথমবারের মতো তিনি রেডিও পাকিস্তানে গান করার সুযোগ পান।
প্রাথমিকভাবে সেখানে তিনি ঠুমরি গায়ক ছিলেন। চাচা তাকে সংগীত পরিচালকরূপে গড়ে তুলতে সহায়তা করেন। এরপর তিনি পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সংগীত ঘরানায় জনপ্রিয় গজল গায়কে পরিণত হন। তিনি পাকিস্তান সরকারের তরফে তমঘা-ই-ইমতিয়াজ, প্রাইড অব পারফরম্যান্স ও হিলাল-ই-ইমতিয়াজ এবং নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে গোর্খা দক্ষিণা বাহু উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ২০১০ সালে এইচএমভি থেকে সারা দিন শিরোনামে তার দ্বৈতগানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এটি ছিল তার প্রথম এবং শেষ দ্বৈতগানের অ্যালবাম। এতে ‘তেরে মিলনা’ গানে লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে গান করেন তিনি। গানটির সুরকার ছিলেন তিনি স্বয়ং, গানটি লিখেছিলেন ফারহাত শাহজাদ।