শিশু জিসানের হত্যাকারী গ্রেপ্তার
প্রান্তডেস্ক:নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর ধামরাই উপজেলার কালামপুরের একটি কবরস্থানের পাশ থেকে শিশু জিসান হাসান রাব্বির (৭) মরদেহ উদ্ধারের তিন ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।র্যাব জানায়, জিসানের হত্যাকারীর নাম আল আমিন (২২)।
গ্রেপ্তার আল আমিন মানিকগঞ্জ সদর থানার জয়রা গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। নিহত জিসানের বাবা জুয়েল রানা তাকে নিয়ে কালামপুর বাজার এলাকা ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি একটি খাবার হোটেলের কর্মচারী।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে সিপিস-২, র্যাব-৪ ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।
তিনি জানান, আল আমিন মাদকাসক্ত। গত ৯ জুন বিকেলে কালামপুর এলাকায় শিশু জিসানকে দেখতে পান তিনি। জিসানের গলায় রুপার চেইন ছিল। মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য তাকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যান আল আমিন। পরে সেখানে জিসানকে বলাৎকার করে রুপার চেইনটি খুলে নেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে জিসানের প্যান্টের রশি খুলে সেটি দিয়ে তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আল আমিন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে জিসানের মাথা ও মুখ কাঁদামাটিতে চেপে ধরে রেখেছিলেন তিনি।
র্যাব-৪ কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, নিখোঁজের পর জিসানের পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্ত শুরু করে র্যাব। সোমবার জিসানের পরিবার জানায় তারা মরদেহ পেয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় র্যাব। লাশ উদ্ধারের তিন ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী আল-আমীনকে ধামরাইয়ের কালামপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কীভাবে আল আমিনকে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে পাওয়া গেল এবং গ্রেপ্তার করা হয় সে বিষয়ে র্যাব কিছু জানায়নি। আল আমিনের ব্যাপারে বাহিনী থেকে বলা হয়েছে, তিনি ছিঁচকে চোর হিসাবে পরিচিত। পাশাপাশি নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মাদকের টাকা সংগ্রহ করতেই চুরি করতেন আল-আমীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।