আজ ধরিত্রী দিবস
প্রান্তডেস্ক:ধরিত্রী দিবস দিবস একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান, যা ২২ এপ্রিল পালিত হয়, পরিবেশ রক্ষার জন্য সমর্থন প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে।ধরিত্রী শব্দটি এসেছে ধরণী বা ধরা থেকে, যার অর্থ হলো পৃথিবী। পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ধার্য করা একটি দিবসই হলো ধরিত্রী দিবস। সর্বপ্রথম ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে দিবসটি পালিত হয়, এবং বর্তমানে আর্থ ডে নেটওয়ার্ক কর্তৃক বিশ্বব্যাপী সমন্বিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়, এবং ১৯৩ সংখ্যারও অধিক দেশে প্রতি বছর পালন করা হয়ে থাকে।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মার্কিন সেনেটর গেলর্ড নেলসন ধরিত্রী দিবসের প্রচলন করেন। পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারিভাবে এই দিবস পালিত করা হয়। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে বসন্তকালে আর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে শরতে ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। এই দিবস ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এবং ১৪১ সংখ্যক জাতি দ্বারা আয়োজন করা হয়েছিল। একই ধরনের আরেকটি উৎসব হল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। জাতিসংঘের উদ্যোগে ৫ জুন এটি বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পালিত হয়।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ধরিত্রী দিবসে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং অন্যান্য ১২০টি দেশ একটি দিকনির্দেশ প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলস্বরূপ ঐতিহাসিক খসড়া আবহাওয়া রক্ষা চুক্তির একটা আসল প্রয়োজনীয় সক্রিয়তার মধ্যে প্রবেশ করতে স্বস্তি এসেছিল, যে সিদ্ধান্ত প্যারিসে ২০১৫ জাতি সংঘ আবহাওয়া পরিবর্তন সম্মেলন-এ উপস্থিত ১৯৫টা দেশের সম্মতিতে নেওয়া হয়েছিল।
১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে সানফ্রান্সিস্কোতে ইউনেস্কো সম্মেলনে শান্তি কর্মী জন ম্যাককনেল পৃথিবী মায়ের সম্মানে একটা দিন উৎসর্গ করতে প্রস্তাব করেন এবং শান্তির ধারণা থেকে, উত্তর গোলার্ধে বসন্তের প্রথম দিন হিসেবে ২১ মার্চ, ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এই দিনটা উদযাপিত হয়। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এই দিনই পরে একটা পরিঘোষণায় অনুমোদিত হয়, যেটা লিখেছিলেন ম্যাককনেল এবং মহাসচিব উ থান্ট জাতি সংঘ সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন। এক মাস পর একটা পরিবেশগত শিক্ষামূলক দিন হিসেবে একটা আলাদা ধরিত্রী দিবসের অবতারণা করেন যুক্তরাষ্ট্র সেনেটর গেলর্ড নেলসন, যেটা প্রথম সংঘটিত হয় ২২ এপ্রিল, ১৯৭০। এই নেলসন পরবর্তীকালে তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অফ ফ্রিডম পুরস্কারে পুরস্কৃত হন। যখন এই ২২ এপ্রিল ধরিত্রী দিবস হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত, তখন ডেনিস হায়েস একটা সংগঠন চালু করেন, যিনি ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে আসল জাতীয় সমন্বয়সাধক ছিলেন; যেটা ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছিল এবং ১৪১টা দেশে সংগঠিত ঘটনা হিসেবে দেখা দিয়েছিল।
এক বিরাট সংখ্যক সামাজিক গোষ্ঠী ধরিত্রী সপ্তাহ উদ্যাপন করে, বিশ্ব আজ যেসব পরিবেশগত বিষয়াদির সম্মুখীন হয় সেগুলো নিয়ে সারা সপ্তাহ জুড়ে নানা কার্যাবলি চলে। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ধরিত্রী দিবস সংঘটিত হয়েছিল বিজ্ঞানের জন্যে পদযাত্রা (২২ এপ্রিল, ২০১৭) এবং এর অনুসরণে মানুষের আবহাওয়া সরলীকরণ হয়েছিল (২৯ এপ্রিল, ২০১৭)।
সান্তা বারবারায় আচমকা তেল নির্গমন, ১৯৬৯
১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা সমুদ্রোপকূলের কাছে ইউনিয়ন অয়েল প্ল্যাটফর্ম দ্বারা একটা জোর কসরতের ফলে আচমকা তেল নির্গমন হতে থাকে। তিরিশ লক্ষ গ্যালনের বেশি তেল উদ্গিরণ হয়েছিল, ফলে ১০,০০০ সামুদ্রিক পাখি, ডলফিন, সিল এবং সমুদ্রের ছোটো-বড়ো মাছের হত্যা সংঘটিত হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্বিপাকের প্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ সক্রিয় কর্মীরা সরলীকরণের মাধ্যমে পরিবেশগত নিয়মকানুন, পরিবেশগত শিক্ষা এবং তার সঙ্গে ধরিত্রী দিবসের অবতারণা করেন।ধরিত্রী দিবসের পক্ষে প্রস্তাবক জনগণ যাঁরা সামনের সারিতে থেকে এই দুর্ঘটনার সঙ্গে লড়াই করেছেন, তারা হলেন: সেলমা রুবিন, মার্ক ম্যাকগিনেস এবং বাড বটমস, গেট অয়েল আউটের প্রতিষ্ঠাতা। কাতে হুইলিংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, ডেনিস হায়েস তাকে বলেন যে, সেনেটর গেলর্ড নেলসন উইসকন্সিন থেকে দেখেছেন, একটা বিমান বন্দর থেকে ৮০০ বর্গমাইল জুড়ে চকচকে তেলক্ষেত্র সান্তা বারবারা চ্যানেল; যেটা তাকে ধরিত্রী দিবস সংগঠিত করতে প্রেরণা দিয়েছিল।
সান্তা বারবারার পরিবেশগত অধিকার দিবস ১৯৭০
২৮ জানুয়ারি,১৯৭০, তেল নির্গমনের প্রথম বার্ষিকীতে, পরিবেশগত অধিকারের দিন হিসেবে পালিত হয়, যেখানে পরিবেশগত অধিকারগুলোর ঘোষণা পাঠ করা হয়। সান্তা বারবারা চ্যানেল নৌকো সফরে পার করার সময় রড ন্যাশ এটা লিখেছিলেন, যখন তিনি টমাস জেফারসনের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বহন করছিলেন।মার্ক ম্যাকগিনেসের নেতৃত্বে পরিবেশগত অধিকার দিনের সংগঠকরা কংগ্রেসের পিট ম্যাকক্লসকি প্রমুখের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে জাতীয় পরিবেশগত নীতি আইন তৈরির জন্যে নিবিড় আলাপ-আলোচনা করেন, প্রথমে উদ্গিরণ/তেল উপচে পড়ার পর পরিবেশগত সুরক্ষা আইনের পরিবেশগত অধিকার ঘোষণার ব্যাপারে জাতীভাবে এক ঝলক হইচই হতে থাক। ম্যাকক্লসকি (সেনেটর গেলর্ড নেলসন-এর সঙ্গে ধরিত্রী দিবসের সহ-প্রধান) এবং ধরিত্রী দিবসের সংগঠক, ডেনিস হায়েস, সেনেটর অ্যালান ক্র্যান্সটন, পল এরলিচ, ডেভিড ব্রোয়ার এবং অন্যানা বিশিষ্ট নেতৃবর্গ উভয়েই ঘোষণটা সমর্থন করেন এবং পরিবেশগত অধিকার দিবসের সম্মেলনে বক্তব্য বলেন। ফ্র্যান্সিস সার্গিসের বক্তব্য অনুযায়ী, “সম্মেলনটা ছিল আন্দোলনের জন্যে ব্যাপ্তিস্মে দীক্ষাদানের মতো।” ন্যাশ, গ্যারেট হার্ডিন, ম্যাকগিনেস এবং অন্যান্যরা একান্তভাবে চেষ্টা করেন যাতে সান্তা বারবারায় ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি-তে পরিবেশগত অধ্যয়ন বিষয়ে প্রাক-স্নাতক কার্যক্রমে প্রথম উন্নীত হয়।
ধরিত্রী দিবস ১৯৭০
সারা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে দু-হাজার কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়, মোটামুটি দশ হাজারের মতো প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং সর্বোপরি শয়ে শয়ে সামাজিক গোষ্ঠীতে প্রথম ধরিত্রী দিবস উদযাপিত হয়েছিল। আরো গুরুত্বপূর্ণ হল, এই উদ্যাপন ” দু-কোটি মার্কিন জনতা পরিবেশগত সংস্কার সাধনের পক্ষে বসন্তের সূর্যালোকিত দিনে শান্তিপূর্ণ প্রদর্শনের জন্যে বেরিয়ে পড়েছিল।” এটা বর্তমানে ১৯২ দেশে পালিত হয়, এবং অলাভজনক ধরিত্রী দিবস নেটওয়ার্ক দ্বারা সংগঠিত হয়, যার প্রধান ছিলেন প্রথম ১৯৭০ ধরিত্রী দিবসের সংগঠক ডেনিস হায়েস, যার মতে এখন ধরিত্রী দিবস হল, “পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো ধর্মনিরপেক্ষ ছুটির দিন, বিশ্বের ১০০ কোটির বেশি মানুষ প্রত্যেক বছর যে দিনটা উদ্যাপন করে।”ওয়াল্ট কেলি তার তৈরি সৃষ্টিশীল পদক্ষেপের আকারে পোগো চরিত্র দিয়ে দূষণবিরোধী পোস্টার বানান, সঙ্গে উদ্ধৃতি, “আমরা শত্রুর সাক্ষাত পেয়েছি এবং সে হচ্ছে আমরা (উই হ্যাভ মেট দ্য এনিমি অ্যান্ড হি ইজ আস)”; এটা করেছেন ১৯৭০ ধরিত্রী দিবসকে প্রচার করার জন্যে। পরিবেশগত গোষ্ঠীগুলো পৃথিবী মা-দিনকে বিশ্ব মানবের ব্যবহার এবং পরিবেশগত নীতি বদল করার একটা মঞ্চ হিসেবে আওয়াজ তোলে।
নিউ ইয়র্ক শহর
১৯৬৯-৭০ খ্রিষ্টাব্দের শীতকালে একদল ছাত্র ডেনিস হায়েসের ধরিত্রী দিবসের পরিকল্পনার কথা শোনার জন্যে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সঙ্গে দেখা করে। সেই দলে ছিলেন ফ্রেড কেন্ট, পিট গ্র্যানিস, ক্রিস্টিন এবং উইলিয়াম হাবার্ড। এই দল জাতীয় আন্দোলনের মধ্যে নিউ ইয়র্ক শহরের কাজকর্মে নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়। অফিস ভাড়া নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের ব্যাপারে ফ্রেড কেন্ট নেতৃত্ব দেন। ক্রিস্টিন হাবার্ডের (এখন ক্রিস্টিন আলেকজান্দ্রে) কথায়: “বড়ো ঝটকা আসে যখন মেয়র লিন্ডসে এই ঘটনার জন্যে ফিফথ অ্যাভিনিউ বন্ধ করে দিতে রাজি হন। একটা বিরাট উল্লসিত জনতা সেদিন কার্যালয়ে যায়।” “সেই সময় থেকে আমরা মেয়রের কার্যালয়, এমনকি তাঁর কর্মীদেরও ব্যবহার করতে থাকি। আমি ছিলাম যোগাযোগকারী বক্তা, কিন্তু লিন্ডসে কর্মী জুডিথ ক্রিকটনের কাছ থেকে অভাবনীয় সাহায্য পেতাম।”ফিফথ অ্যাভিনিউ বন্ধ করা ছাড়াও, মেয়র জন লিন্ডসে ধরিত্রী দিবসের জন্যে সেন্ট্রাল পার্ক ব্যবহারের অনুমতি দেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের হিসেব অনুযায়ী ইউনিয়ন স্কোয়ারে দিনের এক নির্দিষ্ট সময়ে ২০,০০০ মানুষ জড়ো হয়, সম্ভবত দিনভর মিলিয়ে সংখ্যাটা ১০০,০০০ ছাড়িয়ে যায়। ম্যানহাটন থেকে, যেখানে অবস্থানে এনবিসি, সিবিএস, এবিসি, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম এবং নিউজউইক, এটা সম্ভবত তাদের সাংবাদিকদের দেশময় শ্রেষ্ঠ ঘোষণায় জাতীয় সংবাদ সংগ্রহের কার্যকলাপ ছিল।
ফিলাডেলফিয়া
মার্কিন সেনেটর এডমন্ড মুসকি ফিলাডেলফিয়ার ফেয়ারমাউন্ট পার্কে ধরিত্রী দিবসে মূল বিষয়ের বক্তা ছিলেন। অন্যান্য বিশিষ্ট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন গ্রাহক সুরক্ষা সক্রিয় কর্মী এবং প্রেসিডেন্টের তরফে ব্যক্তি রালফ ন্যাডার; ভূচিত্রের সক্রিয় কর্মী ইয়ান ম্যাকহার্গ; হার্ভার্ডের জৈবরসায়নে নোবেল বিজেতা জর্জ ওয়াল্ড; মার্কিন সেনেটে সংখ্যালঘু নেতা হাগ স্কট এবং কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ।
ধরিত্রী দিবস ১৯৯০
১৪১টা দেশের ২০ কোটি মানুষকে সচল করে এবং পরিবেশগত বিষয়সমূহ বিশ্ব স্তরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ধরিত্রী দিবসের কার্যকরতাগুলো বিরাটভাবে বিশ্বব্যাপী পুনর্ব্যবহার পদ্ধতির ত্বরণ ঘটিয়েছিল এবং এটাই ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে রিয়ো ডি জেনেইরোতে জাতি সংঘ ধরিত্রী সম্মেলনকে সংগঠিত করার পথ সহজ করেছিল। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের থেকে আলাদাভাবে, এর ২০তম বার্ষিকীতে শক্তিশালী বিপণন যন্ত্রাদিতে সমৃদ্ধ রেডিয়ো এবং টেলিভিশনে প্রবেশের মহান সুযোগ এবং কোটি-ডলারের ব্যয়নির্বাহের অবস্থায় উন্নীত হয়।[1]
দুটো আলাদা গোষ্ঠী ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ধরিত্রী দিবসের ঘটনাগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে। একটা হল এডওয়ার্ড ফিউরিয়া দ্বারা গঠিত বিশতম ধরিত্রী দিবস সংস্থা, (১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ধরিত্রী সপ্তাহের প্রকল্প নির্দেশক) এবং অন্যটা ডেনিস হায়েস (ধরিত্রী দিবস ১৯৭০-এর জন্যে জাতীয় সংযোজক) দ্বারা গঠিত ধরিত্রী দিবস ১৯৯০। ধরিত্রী দিবসের আসল সভাপতি, সেনেটর গেলর্ড নেলসন দুটো গোষ্ঠীরই সাম্মানিক সভাপতি ছিলেন। দুটো গোষ্ঠীর অসঙ্গত গঠন ও কৌশল এবং মতভেদের জন্যে তারা সম্মিলিত শক্তি হয়ে উঠতে পারেনি। মতভেদগুলোর মধ্যে প্রধান হল, বিশতম ধরিত্রী দিবস সংস্থার সংগঠকদের ধরিত্রী দিবস ১৯৭০-এর মধ্যে জটিলতা এবং তাদের বোর্ড হিউলেট-প্যাকার্ড, সেই সময়কার সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্লোরোফ্লুওরোকার্বন নির্গমনকারী একটা কোম্পানি, যারা বিকল্প দ্রবণে পরিবর্তিত করতে অস্বীকার করে।বিপণনের ব্যাপারে বিশতম ধরিত্রী দিবসের স্থানীয় ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সংগঠিত এবং বিশ্বস্তভাবে জাতীয় বিষপূর্ণ প্রচারের মতো তৃণমূল পর্যায়ের আবেদন ছিল, বোস্টন-কেন্দ্রিক ১০০০ স্থানীয় গোষ্ঠীর একটা মোর্চা শিল্পগত দূষণের ভুক্তভোগী ছিল। ধরিত্রী দিবস ১৯৯০, গোষ্ঠী পরীক্ষায় নজরদারী, সরাসরি বার্তা তহবিল গঠন এবং ইমেল বিপণন কৌশলগুলো কার্যকর করেছিল।