তাপপ্রবাহের মধ্যেই ঝরবে বৃষ্টি
প্রান্তডেস্ক:দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে আগামী তিন দিন। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এছাড়া দেশের অনেক জায়গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- বৃহস্পতিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
পরের দিন শুক্রবার সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। শনিবারও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কোথাও কোথাও।
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়: চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। বুধবার এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিকে, সূর্যের প্রখরতার সঙ্গে তীব্র গরম প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কড়া রোদে শ্রমজীবী মানুষ বাইরে বেরোতে পারছেন না।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই এ জেলায় তাপদাহ শুরু হয়। শুক্রবার এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা মৃদু তাপদাহ। এরপর থেকে ক্রমেই উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। ১৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ১৫ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশা চালক হামিদ বলেন, এই রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বেরোচ্ছে না। তাই যাত্রী খুবই কম। একে তো গরম তার ওপর তেমন ভাড়া না হওয়ায় খুব কষ্টে আছি। দিনশেষে বাড়িতে চুলা জ্বলবে কিনা সেই চিন্তা করছি।