বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি মনিটর করার দাবি মহিলা পরিষদের
প্রান্তডেস্ক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন-হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বন্ধে, রাজনৈতিক প্রভাব দূর করে অপরাধী শিক্ষককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা, রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করে আইন প্রণয়নেরও দাবি সংগঠনটির।রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব দাবির কথা বলে পরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে বারংবার সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনা বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনকে চরম একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে, এখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আজ বিঘ্নিত।
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘটিত যৌন সহিংসতার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোন আন্দোলন হতে দেখিনি। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রতিরোধে সমগ্র সমাজকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে আরো বলেন শিক্ষাঙ্গন থেকে সমস্ত দূর্নীতি বন্ধ করতে হবে; রাজনৈতিক অপতৎপরতা বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে; মহামান্য হাইকোর্টের রায় অনুসারে গঠিত যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে এবং নারীর প্রতি অবমাননাকে সামাজিক অবমাননা হিসেবে দেখতে হবে।
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক র্র্কতৃক শিক্ষার্থীদের উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়। ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যৌন নিপীড়নের শিকার ৯০% ছাত্রী তার শিক্ষাজীবন নিয়ে হুমকিতে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে অভিযোগ করেন না। তারা এসময় হাইকোর্ট প্রণীত আদেশ অনুসারে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি রয়েছে এবং কমিটিগুলো কতটুকু কার্যকর সেটি মনিটর করার জোর দাবি জানান।