এক বছরে ৫১৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা:ছাত্রীর সংখ্যা বেশি
প্রান্তডেস্ক:স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন২০২৩ সালে।আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ জন,কলেজ পর্যায়ে ১৪০ জন,স্কুল পর্যায়ের ২২৭ জনএবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৪৮ জন। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ।আজ বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন এক অনলাইন সেমিনারে এসব তথ্য জানান।২০২২ আত্মহত্যা করেন ৫৩২ জন শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালে কিছুটা কমলেও ততটা আশানুরূপ নয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীরা তাঁদের জীবদ্দশায় নানা বিষয়ের সম্মুখীন হন, যা তাঁদের আত্মহননের পথে ঠেলে দিতে বাধ্য করে।আত্মহত্যার পেছনে কারণ নিয়ে জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ করে তোলে মান-অভিমান, যা সংখ্যায় ১৬৫ জন (৩২.২ শতাংশ)।প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করে ১৪.৮ শতাংশ। মানসিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ৯.৯ শতাংশ। এ ছাড়া পারিবারিক কলহে ৬.২ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। একইসঙ্গে পড়াশোনার চাপ ও পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করে ১৪.৮ শতাংশ। যৌন হয়রানি শিকার হয়ে করেছেন ২.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আত্মহত্যা :
আত্মহত্যা করা ৫১৩ জনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন ৯৮ জন, যা মোট আত্মহত্যার ১৯.১ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন, সাধারণ পাবলিক বিশ্বদ্যিালয়ের ১৯ জন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২ জন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন ও অন্যান্য ১৫ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নেন। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে ৫ জন করে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।