অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের লিফলেট বিতরণ
![অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের লিফলেট বিতরণ](https://www.banglanews24.com/public/uploads/2023/12/22/1703235354.547.jpg)
প্রান্তডেস্ক: : বিএনপি ঘোষিত ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের এ সংগঠন।এরপর সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেগুনবাগিচা ও পল্টন এলাকায় বিএনপির তৈরি করা লিফলেট বিতরণ করেন।বর্তমান সরকার জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনের নামে তামাশা করছে অভিযোগ করে লিফলেটে বলা হয়, এ সরকারকে সহযোগিতা করা কোনো দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী নাগরিকদের জন্য উচিত নয়।
বর্তমান সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে লিফলেটে আরও বলা হয়, ৭ জানুয়ারি ‘ডামি’ ভোটের খেলা বন্ধ করুন। ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। সরকারকে সব ধরনের ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম, তাই ব্যাংকে লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্তরা মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরুর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের মানুষের চাওয়া ছিল গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার। যার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও গণতন্ত্র নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে, হত্যা, গুম, গায়েবি মামলা অব্যাহত রয়েছে৷ এ অবস্থায় দেশের মানুষ তার ভোটাধিকার ফেরত চায়।
তিনি আরও বলেন, আজকে একটি দল ক্ষমতায় থাকার জন্য ২০১৪ সালে নির্বাচন করলো, কিন্তু জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ২০১৮ সালে রাতে ভোট করে ফেললো। আর ২০২৪ সালে রাজতন্ত্রের মতো কে কয়টা আসন পাবে সেট আগেই নির্ধারণ করে দিচ্ছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো বিশ্বাস, আস্থা নেই। জনগণের অধিকারের কোনো মূল্য তাদের কাছে নেই। জনগণ আজকে অধিকার হারা। জনগণের অধিকার ফেরত দেওয়ার জন্যই আজকের আন্দোলন।
বাংলাদেশ পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালণায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের নেতা অধ্যাপক ড. আব্দুল কুদ্দুস, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ইঞ্জি. রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক ড. এমতাজ আহমেদ, সাংবাদিক সৈয়দ আফজাল হোসেন ও আমিরুল ইসলাম কাগজী।