হিমোগ্লোবিন বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন
প্রান্তডেস্ক:হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকার একটি প্রোটিন যা সারা শরীরে অক্সিজেন বহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য কোষের হিম নামক উপাদান তৈরি করতে আয়রনের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি খাদ্যে পর্যাপ্ত আয়রন না পান বা আপনার শরীর সঠিকভাবে আয়রন শোষণ করতে সক্ষম না হয়, তাহলে শরীর যথেষ্ট পরিমাণে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না বা কোষে হিমোগ্লোবিনের অভাব হয়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হলে রক্তস্বল্পতা হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে তবে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করলে তা আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। জেনে নিন এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে-
অ্যালিভ সীড
অ্যালিভ সীড বা ক্রেস সীড, বাংলায় বলা হয় হালিম দানা। এটি আয়রনে ভরপুর একটি খাবার। এই ক্ষুদ্র বীজ নন-হিম আয়রনের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা আয়রনের উদ্ভিদ-ভিত্তিক রূপ। অ্যালিভ সীডে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ১১ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে। আয়রন ছাড়াও অ্যালিভ সীড ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি এর মতো অন্যান্য পুষ্টি দিয়ে পূর্ণ। ফলিক অ্যাসিড লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে, ভিটামিন সি আয়রন শোষণকে উন্নত করে। সালাদ, দই বা স্মুদিতে ব্যবহার অ্যালিভ সীড যোগ করতে পারেন।
ডালিম
ডালিম একটি সুস্বাদু ফল, যা শুধু স্বাদেই নয় আয়রনেও সমৃদ্ধ। ডালিমের ভিটামিন সি আয়রন শোষণ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডালিমের দানা খেলে বা ডালিমের রস পান করলে তা আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। এই ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের একটি ভালো উৎস।
পালং শাক
পালং শাক একটি ক্লাসিক আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। পালং শাকে ফোলেটের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিও রয়েছে, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের জন্য অত্যাবশ্যক। আয়রন শোষণকে উন্নত করতে ভিটামিন সি প্রয়োজন, যা রয়েছে এই শাকে। পালং পনির, পালং কর্ন, পালং স্যুপের মতো খাবার তৈরি করে খেতে পারেন। আবার আপনার অমলেট এবং গ্রিন স্মুদিতেও যোগ করতে পারেন এই শাক।
ডিম
ডিম হলো হিম আয়রনের একটি সহজলভ্য উৎস, যা প্রাণীজ পণ্যে পাওয়া যায় এবং সহজেই শরীর দ্বারা শোষিত হয়। একটি বড় সেদ্ধ ডিমে প্রায় ১ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। ডিম অনেক সুস্বাদু উপায়ে প্রস্তুত করা যেতে পারে, পোচ থেকে সেদ্ধ এমনকী ভেজেও খেতে পারেন ডিম। তাই হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণে আপনার প্রতিদিনের খাবারে ডিম যোগ করুন।
কমলা এবং লেবু
কমলা এবং লেবু আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস নয়, তবে এগুলো আয়রন শোষণের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সাইট্রাস ফলগুলো ভিটামিন সি দিয়ে পরিপূর্ণ, যা উদ্ভিদ-ভিত্তিক উৎস থেকে নন-হিম আয়রন শোষণকে বাড়ায়। আয়রন-সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা আপনার আয়রন গ্রহণকে অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করতে পারে।