আলোচনার মূল ফোকাস ছিল সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: সিইসি

নির্বাচর্বাচন কমিশন ভবনে কথা বলছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সংগৃহীত ছবি
প্রান্তডেস্ক:ঢাকা সফররত মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে জানতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘ইসির সঙ্গে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের বৈঠকে আলোচনার মূল ফোকাস ছিল অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।’
প্রতিনিধিদলের মূল ফোকাসটা কী ছিল-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমি তো বলেছি, ওনারা প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট করতে এসেছেন। মূল ফোকাসটা হচ্ছে-ফ্রি-ফেয়ার, পার্টিসিপেটরি, পিচফুল ইলেকশন।’
সিইসি বলেন, ‘তারা এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বা সরকারের দপ্তরের সঙ্গে মিটিং করেছেন। মূলত এটাকে প্রি অ্যাসেসমেন্ট টিম বলে। আমাদের সঙ্গে যে প্রশ্নগুলো হয়েছে-তারা আমাদের ইলেকশন কমিশনের রোল, দায়িত্ব, অ্যাক্টিভিটিজ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে চেয়েছেন। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছু তাদের বোঝাতে পেরেছি যে, ইলেকশন কমিশনের রোল, ইলেকশন কীভাবে প্লে করে, গভর্নমেন্টের রোল কতটুকু, ওরা কীভাবে প্লে করে। সরকারের সঙ্গে ইলেকশনের কো-অর্ডিনেশনটা কীভাবে হয় এবং যার মাধ্যমে আমরা পুরো ইলেকট্রোরাল প্রসেসটা তুলে নিয়ে আসি। এটা তাদের জানিয়েছি।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তারা যা যা জানতে চেয়েছিলেন জেনিয়েছি। এটা ওনারা দেশে ফিরে গিয়ে পর্যালোচনা করে হয়তো সিদ্ধান্ত নেবেন যে, তারা কোনো অবজার্ভার টিম পাঠাবেন কি পাঠাবেন না বা পাঠালে কীভাবে পাঠাবেন।’
বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) ৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শনিবার বাংলাদেশে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। ইতিমধ্যে দলটি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে। ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে দলটি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশসহ নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।