ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ:বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
প্রান্তডেস্ক:ইসরায়েল এবং গাজার মধ্যকার যুদ্ধ পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে জ্বালানি তেলের উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে এমন আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম। খবর বিবিসি নিউজ।
সোমবার অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ২.২১ ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ দশমিক ৭৯ ডলারে এবং প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড বিক্রি হচ্ছে ৮৫ দশমিক ১৭ ডলারে।
যদিও ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন দেশদুটি তেল উৎপাদনকারী নয় তবে বিশ্বব্যাপী মোট জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন যে হামাসের এই এই হামলার পেছনে সরাসরি সমর্থন রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরানের।
তবে রবিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইরান হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
হামাস আক্রমণের পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ঘোষণা, ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা পাঠানো এবং হামাসকে ইরানের সমর্থন—সবমিলিয়ে এ অঞ্চলে সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
জ্বালানি বিশ্লেষক সাউল কাভোনিক বিবিসিকে বলেন যে, এই হামলা ও যুদ্ধের কারণে ইরান এবং সৌদি আরবের মতো নিকটবর্তী প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিতে বিবাদ ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই আশঙ্কায় বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, “যদি হামাসের হামলায় সহায়তা করার অভিযোগ ইরানকে সংঘাতের মুখে ফেলে, তাহলে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের ৩ শতাংশ পর্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।”
এএনজেড গ্রুপের ব্রায়ান মার্টিন এবং ড্যানিয়েল হায়েনস বলেছেন, ‘তেলের বাজারের জন্য যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো— এই দ্বন্দ্ব এই দুই পক্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে নাকি ওই অঞ্চলের অন্যান্য জায়গায়— বিশেষ করে সৌদি আরবে ছড়িয়ে পড়ে।’
এর আগে, রাশিয়া ও সৌদি আরব কয়েক দফা তেলের উৎপাদন কমানোয় সরবরাহ কমে যায়। যা ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়িয়েছে। এদিকে এমন সময় এ সংকট তৈরি হলো যখন এমনিতেই বাজার উর্ধ্বমুখী রয়েছে। এখন ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ নতুন মূল্যস্ফীতির শঙ্কা তৈরি করেছে।