বড় কোনো বিপদ আসছে, ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল মিশর!
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিশরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন- বড় ধরনের বিপদ আসতে পারে, এমন তথ্য দিয়ে ইসরায়েলকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা তাদের সতর্ক করেছি যে পরিস্থিতির একটি বিস্ফোরণ আসছে, এবং খুব শিগগিরই এটি ঘটতে পারে, এবং এটি বড় ধরনের ঘটনা হবে। কিন্তু তারা এই ধরনের সতর্কবাণীকে পাত্তা দেয়নি।”তবে ওই কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেনি।
তার ধারণা, হয়তো ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অধিকৃত পশ্চিম তীরের প্রতি বেশি মনোযোগী ছিল। তাই হয়তো গাজার হুমকি তাদের নজরে আসেনি।
শনিবার ভোরে আকস্মিকভাবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। এরপর ইসরায়েলও পাল্টা হামলা শুরু করে। ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বোমা বর্ষণ করছে। এতে সেখানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯১ জন শিশু। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।এছাড়াও ইসরায়েলের হামলায় দুই হাজার তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইসরায়েল’ দাবি করেছে, হামাসের হামলায় এরই মধ্যে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে দুই হাজার দুই শতাধিক।
শনিবার ভোরে আকস্মিকভাবে এই হামলা বিগত সময়ে ইসরায়েলের হত্যা, নিপীড়ন ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস।
এতদিন ইসরায়েলের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে ফিলিস্তিন। শনিবারই প্রথমবারের মতো আগে ইসরায়েলে হামলা চালালো ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল