প্রান্তডেস্ক:বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এখন সিসিইউতে রাখা হয়েছে। বর্তমান শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তার পরর্বতী ধাপের চিকিৎসা বাংলাদেশে করার ব্যবস্থা- মেশিনারি, জনবল এবং চিকিৎসাক নেই বলে মত দিয়েছে ১৭ জনের সম্মিলিত মেডিক্যাল বোর্ড। এ অবস্থায় তাকে দ্রুত বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সম্মিলিত মেডিক্যাল বোর্ড।বার্ধক্যজনিত কারণে রোগ না, সঠিক চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার অবস্থা আশংকাজনক হয়েছে বলেও জানিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আমাদের হাতে আর কিছু নেই। যা করার ছিল করা হয়েছে। আমরা যা করছি এটা একটা সাময়িক, তাৎক্ষণিক, জীবনরক্ষাকারী সংক্ষিপ্ত ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, উনার (খালেদা) মূল অসুখ হচ্ছে সিরোসিসজনিত পোর্টাল হাইপারটেনশন। যতক্ষণ পর্যন্ত সিরোসিসজনিত পোর্টাল হাইপারটেনশনের সঠিক-সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা করা না হবে, ততোদিন পর্যন্ত উনার অবস্থার অবনতি এবং জটিলতা হতেই থাকবে। সেই চিকিৎসা হচ্ছে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিসটেমিক সান্ট (টিপস)। এর পরবর্তীতের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট।
তিনি আরও বলেন, লিভারের সংক্রমণের কারণে বার বার পেটে পানি চলে আসছে বেগম জিয়ার। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য এরই মধ্যে তাকে দুই দুই বার সিসিইউতে নেওয়া হয়।
ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। জরুরিভিত্তিতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।