কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় জাসদ নেতাসহ তিনজনের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে কুষ্টিয়া জেলা জাসদের প্রচার সম্পাদক কারশেদ আলম (৪৮), বিলআমলা গ্রামের মৃত বরকত উল্লাহর ছেলে আব্দুর রশিদ (৫৮) এবং মৃত এছের আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫৯)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টায় দৌলতপুর উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের আলেক চাদের ছেলে সাহাজুল ইসলাম (২২) কে পূর্বশত্রুতার জেরে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে উপর্যুপরি লাঠিসোঁটা রড-চাপাতি রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে আশঙ্কাজনক সাহাজুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। সেখানে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার সাত দিন পর সাহাজুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট ১১ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ এজাহার নামীয় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দৌলতপুর থানা পুলিশ চার্জশিট দেয় আদালতে।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার সাহাজুল হত্যা মামলায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে স্বাক্ষ্য শুনানি শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজা দণ্ডদেশ দেন আদালত। এ মামলায় বাকি আটজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন আদালত।