ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত: যা বলছে মুসলিম বিশ্ব
প্রান্তডেস্ক:ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি আক্রমণে উত্তাল হয়ে উঠেছে গাজা উপত্যকা ও ইসরায়েলি ভূখণ্ড। এর প্রভাব পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও। সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারথীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো বিশ্বনেতারা। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। তবে মুসলিম দেশগুলোর অবস্থান কী?
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার এই উত্তেজনা বৃদ্ধির ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে সতর্ক করেছে মিসর। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গুরুতর ঝুঁকি এড়াতে উভয়পক্ষের ‘সংযম দেখানো উচিত’।
ইরান
হামাসের সমর্থক দেশ ও ইসরায়েলের প্রতিপক্ষ ইরান এই সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির এক উপদেষ্টা বলেছেন, ইরান ফিলিস্তিনিদের হামলাকে সমর্থন করছে।
ইরানি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, খামেনির উপদেষ্টা রহিম সাফাভি বলেছেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানাই। ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাশে থাকব।’
সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী দেশ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সৌদি আরব সংঘাত প্রশ্নে অনেকটা কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে। কোনো পক্ষের সমর্থন না জানিয়ে তারা সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, তারা অবিলম্বে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
সৌদি সরকার জানায়, ‘আমরা বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি গ্রুপ এবং ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মধ্যকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, যা বেশ কয়েকটি ফ্রন্টে অনেক বেশি সহিংসতার দিকে এগোচ্ছে।’
তুরস্ক
অনেকটা একই অবস্থান নিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের আরেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা সবপক্ষকেই সংযমের আহ্বান জানাই। তাদের অবশ্যই আক্রমণাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।’
কাতার
সংযমের আহ্বান জানিয়েছে কাতারও। তবে তারা এই সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে চলমান সহিংসতার জন্য ইসরায়েল একাই দায়ী।
দেশটি উভয়পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানিয়েছে এবং হামাসের এই হামলার অযুহাতে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় বাধা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
কুয়েত
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলমান পরিস্থিতি বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে কুয়েত। তারাও এ ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘দখলদারদের উস্কানি দেওয়া বন্ধ’ করতে এবং ‘বসতি সম্প্রসারণ নীতি’ বন্ধ করার আহ্বান জানায়।