দিন গড়িয়ে ঠিকই একই সুর বেজে উঠলো দুই বাংলার অন্যতম অভিনেত্রী জয়া আহসানের কণ্ঠেও। তাই তো প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের (২৮ সেপ্টেম্বর) শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে অভিনেত্রীর ভাষায় আকুতি, ‘আপনার মতো যেন আরেকজন জন্ম নেয় এই ধরায়… ভালোবাসা…।’
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তায় জয়া আহসান আরও বলেন, ‘জীবনে একলা পথ চলতে চলতে যখন হাঁপিয়ে ওঠে মন। শত বাধার দরজা খুলতে গিয়ে মনে হয় থমকে যাওয়ার সময় এলো বুঝি। তখন আমি তাকিয়ে দেখি এক মানবীর দিকে। তার নাম শেখ হাসিনা।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ওপর চলা নির্মম হত্যাকাণ্ডের রেশ টেনে জয়া বলেন, ‘সমস্ত পরিবারকে হারিয়ে যখন একা এসে দাঁড়িয়েছিলেন সেই নারী, তখন সঙ্গে কেবল বোন শেখ রেহানা; স্বজন বলতে তার দেশ, তার দেশের মানুষ।। শুধু মাত্র সেই দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবেসে, পরম মমতায়, কোলে তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ নাম। সেই নারী, আমার অনুপ্রেরণা, একা জীবন পথে হেঁটে চলার মন্ত্রে পরম শক্তির জায়গা। শুধু মনে হয়, পরিজনের ভালোবাসা হারিয়ে, একা সেই লৌহমানবী যদি পারেন সব বাধা অতিক্রম করতে, আমি কেন পারবো না?’
‘বুকে তার বাংলাদেশ নামের অপ্রতিরোধ্য স্বপ্ন, আঁচল ভরা মমত্ব। শত ষড়যন্ত্রে ও আটকে রাখা যায় না এমন হার না মানা এক মন। বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশ এক আশার নাম হবে, এই প্রতিজ্ঞায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে একাই এগিয়ে চলেছে সে। চোখ ভিজে আসে… গলা দিয়ে ফুটে বেরোয় আত্মপ্রত্যয়ী জয়গান। তারপর যখন চোখ মেলে দেখি বর্তমান, চেয়ে দেখি বিশ্ব মাঝে আমার বাংলার উজ্জ্বল নাম, পদ্মা সেতু ধরে পার হয়ে যাই বিশ্বের মাঝে, যেখানেই থাকি সবুজ বাংলা আমার বুকের মাঝে থাকে, আর যে নামটা সব সময় জেগে থাকে, তা আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নাম।’ যোগ করেন জয়া।
শেষে বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর তার জন্মদিনে তাকে জানাই আমার অফুরান শ্রদ্ধার্ঘ্য। এমন করেই আলো হয়ে থাকুন, আশা হয়ে থাকুন আমাদের মননে, বাংলাদেশ নামে যেন আপনার হাত ধরেই স্বপ্ন দেখতে পারি আমরা আজীবন। জন্মদিনে প্রার্থনা করি, আপনার মতো যেন আরেকজন জন্ম নেয় এই ধরায়… ভালোবাসা…।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দাদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।