আজ একনেকে উঠছে ২৬ প্রকল্প
প্রান্তডেস্ক:২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে বাড়ছে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের সংখ্যা। আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উঠতে যাচ্ছে ২৬টি প্রকল্প। এগুলোর মধ্যে একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে ১৭টি প্রকল্প। মেয়াদ বাড়ানোর জন্য উপস্থাপন করা হবে ২টি প্রকল্প এবং আগেই পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন এমন ৭টি প্রকল্প (৫০ কোটি টাকার নিচে ব্যয়) অবগতির জন্য তোলা হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, আজ একনেকে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৫টি প্রকল্প উঠতে যাচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে, নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে কালিয়া নামক স্থানে নবগঙ্গা নদীর উপর কালিয়া সেতু নির্মাণ (২য় সংশোধিত), বিআরটিসি’র জন্য সিএনজি একতলা এসি বাস সংগ্রহ, উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত), ধীরাশ্রম আইসিডি নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণসহ পুবাইল-ধীরাশ্রম রেল লিংক নির্মাণ, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আগত দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ। এ ছাড়া শিল্প ও শক্তি বিভাগ থেকে উঠছে সোমনাগাজী ৫০ মেঃ ওঃ (সংশোধিত ৭৫ মেঃ ওঃ) সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত)। আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ থেকে উঠতে যাওয়া চারটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিএমইউ) স্থাপন, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস-এর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত) এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধন)। পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে অনুমোদনের জন্য উঠছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন, বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জলবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র (এমডিএসপি) (৩য় সংশোধিত), কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলাধীন গড়াই নদীর উপর সেতু নির্মাণ, গুচ্ছগ্রাম ২য় পর্যায় (ক্লাইমেট ভিকটিম্স রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট (৪র্থ সংশোধিত)।এ ছাড়া ভৌত অবকাঠামো বিভাগের একটি ও আর্থ সামাজিক বিভাগের একটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ৩টি এবং আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ৪টি প্রকল্প অবগতির জন্য তোলা হচ্ছে।
গত কয়েকটি একনেক বৈঠক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রকল্প অনুমোদনের সংখ্যা অনেক বাড়ছে। ১৮ই জুলাই অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১৫টি প্রকল্প। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০শে জুন অনুমোদন দেয়া হয় ১৬টি প্রকল্প। এগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর আগে ৬ই জুন একনেক বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয় ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্প। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ১১ই এপ্রিল অনুমোদন দেয়া হয় ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প- এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ৪ঠা এপ্রিল অনুমোদন দেয়া হয় ১১টি প্রকল্প- এগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছিল চার হাজার ২৫২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২৯শে আগস্ট একনেক সভায় ২০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল মোট ১৪ হাজার ৭৭ কোটি টাকা।