সাজা স্থগিত হলেও জেলে থাকবেন ইমরান খান

প্রান্তডেস্ক:তোশাখানা মামলায় মুক্তির আদেশ সত্ত্বেও সাইফার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের অবিলম্বে মুক্তির সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার একটি বড় আইনি বিজয়ে অ্যাটক কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) থেকে স্বস্তি পেয়েছেন। তোশাখানা মামলায় তাকে দেওয়া সাজা স্থগিত ও জামিনে তার মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে মুক্তির আদেশ সত্ত্বেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাগারে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।তোশাখানা মামলায় অ্যাটক কারাগারে বন্দি থাকার সময় অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-১৯২৩-এর অধীনে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) আনুষ্ঠানিকভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল, যিনি গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা প্রস্তাবের পর পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন।
এফআইএর কাউন্টার টেররিজম উইং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গোপন নথিটি ভুল স্থানান্তর ও অপব্যবহার করার অভিযোগে খানের বিরুদ্ধে মামলায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। মামলার বিচার চলাকালীন সরকারি গোপনীয়তা আইনের অধীনে গঠিত একটি বিশেষ আদালতের বিচারক ইমরান খানকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কারাগারে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচার বিভাগীয় লকআপে রাখার ও রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হলে হাজির করার জন্য অ্যাটক জেল সুপারকেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।তাই অবিলম্বে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।
সাইফার মামলা
২০২২ সালের ২৭ মার্চ অনাস্থা ভোটের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার পকেট থেকে একটি কাগজের টুকরো (কথিত সাইফার) বের করে ইসলামাবাদে একটি জনসমাবেশে তা নাড়িয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, কাগজটি তার সরকারকে পতনের জন্য একটি ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ চালানোর প্রমাণ। পরে অনাস্থা ভোটে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
আজম বলেছেন, পিটিআই চেয়ারম্যান এ ধরনের কাজ এড়াতে তার পরামর্শ সত্ত্বেও রাজনৈতিক সমাবেশে মার্কিন সাইফার ব্যবহার করেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীও তাকে বলেছিলেন, বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ‘বিদেশি সম্পৃক্ততার’ দিকে জনসাধারণের মনোযোগ সরাতে সাইফার ব্যবহার করা যেতে পারে।