আজীবন সম্মাননা পেলেন আলমগীর কবির
প্রান্তডেস্ক:বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পের পথপ্রদর্শক চলচ্চিত্রাচার্য আলমগীর কবিরকে আজীবন সম্মাননা (মরণোত্তর) দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র কেন্দ্রে’ তার স্বজনের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন জাতীয় বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তানভীর মোকাম্মেল।
এ ছাড়া যারা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ এবং একুশে পদক’ পেয়েছেন তাদেরও সংবর্ধনা দিয়েছে শর্ট ফিল্ম ফোরাম। এই তালিকায় একুশে পদকপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ (২০১০), তারেক মাসুদ মরণোত্তর (২০১২), তানভীর মোকাম্মেল (২০১৭), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (২০২১) এবং স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছেন আলমগীর কবির মরণোত্তর (২০১০)।সংবর্ধনাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন হাসনাত আব্দুল হাই, সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী ও তানভীর মোকাম্মেল। আলমগীর কবির, তারেক মাসুদ ও নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর পক্ষে স্বজনরা সম্মাননা গ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে তানভীর মোকাম্মেল আলমগীর কবিরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আলমগীর কবির ছিলেন এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জনক ছিলেন আদর্শ শিক্ষক। বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম প্রতিষ্ঠায় এবং এ আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে তিনি সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানান, আলমগীর কবির তার হাতে ক্যামেরা তুলে দিয়ে বলেছিলেন, আজ থেকে ছবি বানাতে নেমে পড়ো। তখন এফডিসি থেকে ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে ছবি বানানোর মতো সামর্থ্য তার ছিল না।
হাসনাত আব্দুল হাই জানান, তিনি নির্মাতা না হলেও সারাজীবন গোটা পৃথিবীর চলচ্চিত্র দেখেছেন। চলচ্চিত্র নিয়ে বইও লিখেছেন। শর্টফিল্ম ফোরামের পাশে ছিলেন সবসময়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাহিদুর রহিম অঞ্জন, জুনায়েদ হালিম, দেওয়ান শামসুর রকিব, রাকিবুল হাসান, মানজারে হাসিন মুরাদ, এন রাশেদ চৌধুরী, মীর শামসুল আলম বাবু, মুজতবা সউদসহ আরও অনেকে।