জাকের পার্টির কাউন্সিল::‘বড় দুই দলের কারণে গণতন্ত্র বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে’
প্রান্তডেস্ক:জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেছেন, ‘এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। বড় দুই দল পরস্পর সংঘাত মূখী। একদল আরেকদলকে নিশ্চিন্ন করে দিতে চায়। এটা গণতান্ত্রিক নীতি নয়।এই দু’টি বড় দলের কারণে গণতন্ত্র বারবার মুখ থুবরে পড়েছে। অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাকের পার্টির ৪র্থ জাতীয় কাউন্সিলে বক্তৃতা কালে তিনি এসব কথা বলেন। জাকের পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের পরে বাংলাদেশের একটি নির্বাচনও নিরপেক্ষ হয় নাই।নির্বাচনের নামে খেলা হয়েছে। চক্রান্তকারীরা তার পক্ষে ভোটের ফলাফল নিয়ে গেছে।’মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেন, ‘বহু স্বৈরাচার বিশ্বের নানা দেশে উন্নয়ন করেছে। কিন্তু জনগণের সমর্থন তারা পায় নি।কারণ জনগণ চায় মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। জনগণ বাক স্বাধীনতা চায়, ভোট দিতে চায়। তার পরই উন্নয়ন চায়।’জাকের পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি ১৪ দলেও নাই, আমি ৩৬ দলেও নাই। আমি ১৪ দলের লেজুড়নই।আমি গরীব, দুঃখী, মেহনতী মানুষ, প্রিয়দেশবাসী, গরীব মানুষের সাথে আমাদের মহাজোট।’
মোস্তফা আমীর ফয়সল আরো বলেন, ‘ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাকের পার্টির কাউন্সিলে আজ যে লোক সমাগম হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকী ১৩ দলের আমাদের এই সমাবেশের ২০ শতাংশও নাই। একই ভাবে বিএনপি ছাড়া তাদের জোটের বাকী ৩৫ দলের আজকের এই সমাবেশের লোকসংখ্যার ১০ শতাংশও নাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের নিউজ বড় করে লেখা হয়। টিভিতে দেখানো হয়।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান, দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “স্লোগান উঠেছে খেলা হবে খেলা হবে”। একি অবস্থা? কি খেলা হবে? রক্তের হোলি খেলা হবে? উভয় পক্ষ ঢাল তলোয়ার নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে। বলছে খেলা হবে। তবে আমরা থাকতে রক্তের হোলি খেলা হতে দেব না।
মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেন, ‘দেশকে বাঁচাতে হবে, জাতিকে বাঁচাতে হবে। দেশকে বাঁচানোর জন্য যা যা করা দরকার তাই করব। যদি দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয় তবে জাকের পার্টির ২১ লাখ আত্মত্যাগী নেতাকর্মী বসে থাকবে ন। সময় মত সব করা হবে।’
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান দৃঢ় প্রত্যায় ব্যাক্ত করে বলেন, “এবারের সংগ্রাম বাংলাদেশকে রক্ষা করার সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম।”
মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেন, ‘বড় দুই দলের জোটে যারা আছে এদের পায়ে জোর নাই। এরা আওয়ামী বা বিএনপির কাধে ভর দিয়ে স্বার্থ আদায় করে। এতে রাজনীতিবিদদের সম্মান থাকে না। কিন্তু উনাদের লাজলজ্জা নাই। জাকের পার্টির কাছে নীতিনৈতিকতা আগে, সমর্থন যাবে পিছনে। আমরা নৈতিকতার পথ ধরে ক্ষমতায় যেতে চাই। ইতিমধ্যে আমরা ২৬১৫ জন প্রার্থী জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য তৈরী করে রেখেছি। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।’
জাকের পার্টি ও সহযোগী সংগঠন সমূহের লক্ষাধিক ডেলিগেট ও কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল “ফয়সল ভাই ফয়সল ভাই” এবং “জাকের পার্টি জাকের পার্টি” ধ্বনিতে মুখরিত হয়। উদ্বোধনী মহা সমাবেশে বক্তৃতা করেন, জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল, জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।