ব্রিটিশবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী কয়েস উদ্দিন ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনও করেছেন। তিনি শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গান রচনা করেন। ভাষা আন্দোলনের ওপরে গান লিখে নিজেই গেয়ে বাঙালিদের উদ্বুদ্ধ করতেন। ২১ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানিদের গুলিতে রফিক, বরকত, ছালাম শহীদ হলে সারাদেশে আন্দোলন বেগবান হয়। তখন তিনিও জামালপুরের আন্দোলনে ছিলেন।আইয়ুববিরোধী গান রচনার জন্য কয়েস উদ্দিন আইয়ুব খানের মার্শাল ল’ এর সময় জেল খাটেন।১৯২৪ সালে জামালপুর শহরতলীর বেলটিয়া গ্রামের কৃষক মরহুম ছইম উদ্দিন সরকারের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন গর্বিত এ ভাষা সৈনিক। সংসারে অভাব অনটনের কারণে লেখাপড়ায় বেশি এগোতে না পারলেও ছোটবেলা থেকেই কাজের ফাঁকে গান লেখা, সুর করা ও গান গাওয়া পছন্দ করতেন তিনি। সুযোগ পেলেই মানুষের সেবার এগিয়ে যেতেন। ঢাকা থেকে সারাদেশের মতো ভাষা আন্দোলনের ঢেউ আছঁড়ে পড়ে জামালপুরেও। ছাত্র-জনতা রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে নেমে আসে।উল্লেখ্য-অকুতোভয় এই বীরের অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী, মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য তার মরদেহ দান করা হবে।