এই দিনে:২৩ আগস্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ২:০৩ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৩৪ বার পঠিত
১৯৮৭ সালের ২৩ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক সমর সেন। তার জন্ম ১৯১৬ সালের ১০ অক্টোবর কলকাতার বাগবাজারে। পিতা অরুণ সেন বিশ^ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন। প্রথিতযশা গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন তার পিতামহ। সমর সেন কাশিমবাজার স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯৩২), স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে আইএ (১৯৩৪) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (১৯৩৭) ও স্নাতকোত্তর (১৯৩৮) ডিগ্রি লাভ করেন। মার্কসবাদী নেতা রাধারমণ মিত্র ও বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য লাভ করার ফলে সমর সেনের রাজনৈতিক মনন গঠিত হয়। তবে তিনি মার্কসের সাম্যবাদী মতবাদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করলেও সরাসরি মার্কসীয় রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করেননি। সমর সেন কিছুকাল অধ্যাপনা করেন কাঁথির প্রভাতকুমার কলেজ এবং দিল্লির কমার্শিয়াল কলেজে। তার কর্মজীবনের লম্বা সময় কেটেছে সাংবাদিকতায়। স্টেটসম্যান, হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড, নাও প্রভৃতি পত্রিকায় তিনি সাংবাদিকতা করেন। ‘ফ্রন্টিয়ার’ ও ‘নাও’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এবং মস্কোর প্রগতি প্রকাশনালয়ে অনুবাদক হিসেবেও তিনি কর্মরত ছিলেন। ‘আমি রোমান্টিক কবি নই, আমি মার্ক্সিস্ট’ এভাবেই তিনি মার্কসবাদের প্রতি তার প্রবল আকর্ষণ ঘোষণা করেন। নাগরিক জীবনের স্বভাব, অভাব ও অসংগতির বিদ্রƒপাত্মক চিত্রায়ণ ঘটেছে তার কবিতায়। সামন্ততন্ত্রের প্রতি আসক্তি, উপনিবেশের শৃঙ্খল, আর্থিক-সামাজিক-রাষ্ট্রিক-আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীলতার অভিঘাতে মধ্যবিত্তের বিচলিত মন তিনি তুলে ধরেন। স্নেহ-প্রেম প্রভৃতি মানবিক অনুভূতির আড়ালে মধ্যবিত্তের দোদুল্যমানতা, স্বার্থপরতা ও পাশবিকতার মর্মঘাতী রূপ তুলে ধরেছেন তিনি কবিতায়। তার কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে কয়েকটি কবিতা, গ্রহণ, নানা কথা, খোলা চিঠি, তিন পুরুষ প্রভৃতি প্রধান। তার আত্মজীবনী ‘বাবু বৃত্তান্ত’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালে।