চট্টগ্রামে বোনাস পায়নি ৬২৬ পোশাক কারখানার শ্রমিক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুন, ২০২৩ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১১৯২ বার পঠিত

তবে বুধবার (২৮ জুন) দুপুর ২টার মধ্যে সব ধরনের বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন কারখানা মালিকরা। তার অপেক্ষায় রয়েছেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে বেতন-বোনাস না হলে রাস্তায় নামার হুমকি দিচ্ছেন শ্রমিকরা।
গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন রহমান বলেন, কারখানাগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। এখনো পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোন সমস্যার কথা শুনিনি। এরপরও ৬২৬ কারখানার শ্রমিক ভাই-বোনেরা বেতন-বোনাস পায়নি। দুপুর ২টার মধ্যে বেতন-বোনাস না হলে শ্রমিকরা রাস্তায় নামবে।
তবে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদের পাঁচ দিন আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ করার নির্দেশনা ছিল। কার্যাদেশ কমায় আমাদের অধিকাংশ কারখানাতে আর্থিক সংকট চলছে। তবুও সকলে চেষ্টা করছে বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে। আমাদের তালিকাভুক্ত সকল কারখানা ইতোমধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধ করে দিয়েছে। বাকিরাও দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করবে। শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে আমরা সাত সদস্যের ক্রাইসিস কন্ট্রোল রুম নামে একটি মনিটরিং টিম গঠন করেছি।
শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৪৭০টি পোশাক কারখানা রয়েছে। বড় বড় কারখানার পাশাপাশি এ তালিকায় রয়েছে মাঝারি, ক্ষুদ্র ও চুক্তিভিত্তিক (সাব-কন্ট্রাক্ট) প্রতিষ্ঠানের নাম। এরমধ্যে চট্টগ্রামে বিজিএমইএর তালিকাভুক্ত ৯১টি, বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত ১৪০টি কারখানা রয়েছে।
চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৭০টি পোশাক কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৪৪৪টি কারখানায় মে মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। পাশাপাশি ৮৪৪টি কারখানা ঈদের বোনাসও পরিশোধ করেছে। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৬২৬টি কারখানার শ্রমিকরা বোনাস পায়নি।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মিডিয়া) সেলিম নেওয়াজ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত সবকিছু তদারকি করছি। কারখানা মালিকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ এ ধরনের কোন সমস্যা তৈরি হয়নি। শেষদিকে এসে যেন কোন ধরনের সমস্যা না হয় সেদিকে আমাদের নজর আছে। আশা রাখছি কোন ধরনের সমস্যা আর হবে না।