তাহিরপুরে যুবককে ‘পিটিয়ে হত্যা’
প্রান্তডেস্ক:সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে রাতের আধারে রাস্তা থেকে বাড়িতে নিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবকের নাম মো. সাকিব মিয়া (২৫)। তিনি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া টেকেরগাঁও গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) মধ্য রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মোশারফ হোসনের সঙ্গে একই গ্রামের মজিবুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ইতিপূর্বে দু’পক্ষের মধ্যে আরও কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটেছে। দু’পক্ষের মধ্যে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে নিহত সাকিব বাড়ি থেকে চক বাজারে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আসে। রাত ১ টার দিকে সাকিবের পিতা মজিবুর রহমানের কাছে ফোন আসে সাকিব কে মোশারফের বাড়িতে মারপিট করছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সংবাদ পেয়ে মজিবুর রহমান গ্রামের তৃতীয় পক্ষের দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে মোশারফ হোসেনর বাড়িতে যেয়ে তার ছেলেকে ফেরত চান। মোশারফের লোকজন সাকিবকে তার পিতার কাছে না দিয়ে উল্টো মজিবুরকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে গেইট বন্ধ করে দেন।
নিহতের মা তেরাবজুন বেগম বলেন, সোমবার সন্ধার দিকে চক বাজারে যাওয়ার কথা বলে সাকিব বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছেলেকে মোশারফের লোকজন রাস্তা থেকে ধরে বাড়িতে নিয়ে মারপিট করে হাত পা ভেঙ্গে মেরে ফেলেছে। মোশারফ গংরা গত বছর আমার ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল এবং আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। তিনি বলেন, আমার ছেলের খুনিদের বিচার চাই।
নিহতের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে নিয়ে পিটিয়ে দু-হাত দু-পা ভেঙে মেরে ফেলেছে আমার ছেলেকে। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে মোশারফের বাড়িতে গিয়ে তাদের হা পা ধরে আকুতি মিনতি করেছি ছেলেকে উদ্ধারের জন্য। কিন্তু তারা আমার ছেলেকে ফেরত না দিয়ে উল্টো আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। সকালে শুনি আমার ছেলে মারা গেছে।
সৌজন্যে:সিলেটভিউ২৪.কম

