মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন না দাঁড়ালে কে হবেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী
প্রান্তডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট এবং তার জনপ্রিয়তার মাত্রা এখন ৪০ শতাংশেরও নীচে। তাই প্রেসিডেন্ট পদে পুন:নির্বাচনে জো বাইডেন শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আশি-বছর বয়সী বাইডেনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনেরা অবশ্য জোর দিয়ে বলছেন যে তার ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে শিগগীরই। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নিজে এবিষয়ে কোন চূড়ান্ত ঘোষণা দিচ্ছেন বলে দৃশ্যত মনে হচ্ছে না।জনমত জরিপগুলি যদিও বলছে যে বেশিরভাগ ডেমোক্র্যাট চায় প্রার্থী হিসেবে অন্য কাউকে মনোনীত করা হোক, কিন্তু সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেরাই বলছেন যে বাইডেন যদি শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন – তাহলে তারা তাকে চ্যালেঞ্জ করবেন না।
কিন্তু বাইডেন সেই সিদ্ধান্তটি না নিলে পরিস্থিতি কী হতে পারে?
নীচের এই তালিকাটিতে দু’জন প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে যারা ইতোমধ্যেই ২০২৪-এর নির্বাচনী দৌড়ে অংশ নেয়ার ঘোষণা করেছেন। এর বাইরে আরও বেশ ক’জন রয়েছেন যারা প্রার্থিতা ঘোষণা করতে পারেন।
ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন
আত্মোন্নয়ন বিষয়ক শিক্ষাগুরু ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন হলেন প্রথম ডেমোক্র্যাট যিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনের লড়তে দলের মনোনয়ন চেয়েছেন, এবং মার্চ মাস থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণাও শুরু করেছেন।
সত্তর-বছর বয়সী উইলিয়ামসন দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে আন্দোলন করছেন। তার লেখা বই বেস্ট-সেলার হয়েছে। তিনি রাজনীতিতে পা রাখেন ২০২০ সালে।ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দু’টি প্রাইমারি নির্বাচনের বিতর্কে তার পারফরম্যান্স দিয়ে তিনি শ্রোতাদের মোহিত করেছিলেন, এবং তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করার একমাত্র উপায় হলো “রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভালবাসার শক্তিকে কাজে লাগানো।”
কিন্তু দলীয় রাজনীতির একপ্রান্তে থাকা এই প্রার্থী ভোট শুরুর আগেই তার প্রচারাভিযান বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে দলের মধ্যে প্রগতিশীল বাম শক্তির পক্ষে তিনি এক শক্তিশালী কণ্ঠস্বর।
তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য যে জোট গড়ে তুলেছেন সেটি সার্বজনীন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে চাইল্ড কেয়ার, দাসপ্রথার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের অন্তত এক ট্রিলিয়ন অর্থ প্রদান এবং শান্তি মন্ত্রণালয় নামে একটি ফেডারেল সংস্থা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র
ভ্যাকসিন-বিরোধী আন্দোলনকর্মী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র হোয়াইট হাউসের জন্য লড়াইয়ের জন্য তার কাগজপত্র জমা দিয়েছেন এবং এপ্রিলের পর থেকে তার প্রচারাভিযান শুরু করবেন বলে ঘোষণা করেছেন।।
প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা এবং নিহত মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল ববি কেনেডির ছেলে রবার্ট জুনিয়র কেনেডি বংশের ১২তম সদস্য যিনি রাজনৈতিক পদে নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। নিউইয়র্কের হাডসন নদীর সংস্কারসহ পানীয় জলের মতো বিষয়গুলোতে প্রচারণার জন্য অতীতে তিনি প্রশংসা অর্জন করেছেন।
কিন্তু টিকা নিয়ে তার “দুঃখজনকভাবে ভুল” ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের জন্য ৬৯-বছর বয়সী কেনেডিকে তার পরিবারের বেশিরভাগ লোক এখন প্রকাশ্যে একঘরে করে রেখেছেন।
ভ্যাকসিন নিয়ে কেনেডির এই সংশয় কোভিড-১৯ মহামারির অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মহামারি চলার সময় তিনি নতুন করে বহু লোকের সমর্থন অর্জন করেন এবং ২০১১ সালে তার প্রতিষ্ঠিত ভ্যাকসিন-বিরোধী এক অলাভজনক এনজিও’র অর্থায়ন দ্বিগুণ হয়। কামালা হ্যারিস
কামালা হ্যারিসন
একজন বয়স্ক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে যিনি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন তিনি হলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।
তিনি একজন সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এবং মার্কিন সিনেটর হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮-বছর বয়সী মিসেস হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রথম এশীয়-আমেরিকান ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে ২০২০ সালে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অদৃশ্য বাধার পাঁচিলটি ভেঙে ফেলতে সক্ষম হন।
দু’হাজার একুশ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ৮৫ মিনিটের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে সংক্ষিপ্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কারণ সে সময় একটি কোলনোস্কোপি করাতে বাইডেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ওভাল অফিসের সবচেয়ে কাছাকাছি যেতে সেটিই হয়তো কামালা হ্যারিসের জন্য একমাত্র সুযোগ ছিল।
কারণ, কামালা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চেয়েও কম জনপ্রিয় এবং গত ক’মাস ধরে তাকে নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক গল্প চালু রয়েছে।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তাকে মার্কিন প্রশাসনের সবচেয়ে জটিল কিছু সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর আগমন বন্ধ করা।
প্রশাসন থেকে কর্মচারীদের দলে দলে চলে যাওয়া এবং কিছু সরকারি অনুষ্ঠানে তাকে ঘিরে অস্বস্তিকর ঘটনাও পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা জোর দিয়ে বলছেন, তিনি অন্যায় নারী-বিদ্বেষ আর লিঙ্গবাদী অপবাদের শিকার এবং এসব অপবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হোয়াইট হাউস সম্প্রতি তৎপরতা জোরদার করেছে। গ্যাভিন নিউসম
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উত্তরসূরি পদে ভিপি হ্যারিস একসময় নিশ্চিতভাবেই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আরেকজন রাজনীতিবিদ গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে নিয়েই এখন সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন চলছে।
পঞ্চান্ন-বছর বয়সী গ্যাভিন নিউসম জাতীয় পর্যায়ের প্রথমবারের মতো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ২০০৪ সালে, যখন স্যান ফ্রান্সিসকো শহরের মেয়র হিসাবে তিনি রাজ্যের আইন ভঙ্গ করে সমকামী বিয়ের লাইসেন্স প্রদান করেছিলেন।
পেশায় মদ ব্যবসায়ী গ্যাভিন নিউসম ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচিত হন এবং রক্ষণশীল ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রগতিশীল শক্তির প্রধান ধারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
করোনা মহামারির শুরুর দিকে দৃঢ় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি প্রশংসা অর্জন করেন। কিন্তু তার একটি ডিনারের দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল যেখানে গ্যাভিন নিউসমকে তার নিজের তৈরি কোভিড আইন ভঙ্গ করতে দেখা যায়। এর জেরে ২০২১ সালে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গভর্নরের পদ থেকে তাকে প্রত্যাহার এক প্রচেষ্টা শুরু হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত গত বছর রিপাবলিকান-নেতৃত্বাধীন প্রার্থীকে পরাজিত করে গভর্নর নিউসম সহজেই দ্বিতীয় মেয়াদে পুন:নির্বাচিত হন।
নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য গ্যাভিন নিউসমের হাতে রয়েছে এক বিশাল তহবিল এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বড় বড় অর্থদাতাদের সমর্থনও রয়েছে তার পেছনে। সম্প্রতি জাতীয় পর্যায়ে লড়াই চালাতে তার মনোভাব তার ভবিষ্যৎ উচ্চাকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে সবার নজর কেড়েছে।
ফ্লোরিডা এবং টেক্সাসের মতো রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্যগুলিতে বিজ্ঞাপন প্রচার করে তিনি তার নিজ দলের দুর্বলতার সমালোচনা করেছেন।
বাইডেনের বয়স যদি ভোটারদের কাছে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের ৮১-বছর বয়সী আইনপ্রেণেতা বার্নি স্যান্ডার্সকে মনোনয়ন দেয়ার যুক্তি অনেকের কাছে অর্থবোধক নাও হতে পারে।
তবে রাজনীতির মাঠে দীর্ঘদিন ধরে তৎপর এই নেতাকে অনেক ভোটার আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান বামশক্তির একজন আদর্শ বাহক হিসেবে দেখে থাকেন।
একজন স্বতন্ত্র সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ভোটের সময় সাধারণত ডেমোক্র্যাটদের সাথেই থাকেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মনোনয়নের প্রতিযোগিতায় ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তিনি প্রায় জিতে গিয়েছিলেন।
দু’হাজার বিশ সালের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়নের প্রতিযোগিতায় বার্নি স্যান্ডার্স ছিলেন বাইডেনের ঠিক পেছনে, দ্বিতীয় স্থানে। তিনি নিজেকে “ডেমোক্র্যাটিক সোশালিস্ট” হিসেবে বর্ণনা করেন। ২০২০ সাল থেকে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন নীতিমালা তৈরিতে তিনি ভূমিকা রেখে আসছেন, যদিও সেই সাফল্য ছিল সীমিত।
কিন্তু ডেমোক্র্যাটিক পার্টি দেশের তরুণ ভোটারদের মন বোঝে না এবং শ্রমজীবী শ্রেণিকে দলের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেনা – বার্নি স্যান্ডার্সের এই বার্তা দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছে। হোয়াইট হাউস জয়ের তৃতীয়বার লড়াইয়ে তিনি হয়তো এবার সফল হবেন বলেই তার সমর্থকরা আশা করছেন।
প্রেসিডেন্ট পদে অন্যান্য যেসব প্রার্থী
জেবি প্রিটজকার: হায়াত হোটেল চেইনের বিলিয়নেয়ার উত্তরাধিকারী প্রিটজকারের বয়স ৫৮ বছর। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা সম্প্রতি তাকে একজন ‘জরুরিকালীন’ প্রার্থী হিসেবে বর্ণনা করেছে। তার রাজনৈতিক অপারেশন বেশ শক্তিশালী, ইলিনয় রাজ্যের গভর্নর হিসেবে তার রেকর্ড বেশ প্রগতিশীল এবং তার রাজনৈতিক ধীশক্তিও বেশ জোরদার।
ফিল মারফি: আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকসের একজন ফিনানশিয়ার মারফি একসময় জার্মানিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ৬৫-বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ এখন নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর। তিনি আরও বড় দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে মনে করা হয়। তবে বলেছেন, “তিনি ১০০০% প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পেছনে রয়েছেন।”
এমি ক্লোবুশার: মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর এমি ক্লোবুশার ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার দৌড় থেকে একেবারে শেষ পর্যায়ে সরে দাঁড়ান। তবে বাইডেন সরকারের সময় ৬২-বছর বয়সী ক্লোবুশারকে সেনেটে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন প্রধান শক্তি বলে মনে করা হয়।
এলিজাবেথ ওয়ারেন: ২০২০ সালের দৌড়ে তিনি প্রথম পর্যায়ে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি পিছিয়ে পড়েন। ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ৭৩-বছর বয়সী এই সেনেটার যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকার বাতিল হওয়ার পর নারী ভোটারদের পক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কোরি বুকার: ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার দৌড়ে তিনি প্রার্থী ছিলেন। ৫৩-বছর বয়সী নিউজার্সির এই সেনেটার গত বছর একটি আবেগময় বক্তৃতার জন্য প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বিচারপতির ঐতিহাসিক মনোনয়ন উপলক্ষে ঐ ভাষণে তাকে চোখের জল মুছতে দেখা যায়।
পিট বুটিগিগ: ইন্ডিয়ানার ছোট্ট এক শহরের ৪১-বছর বয়সী সমকামী এই মেয়র ২০২০ সালের প্রতিযোগিতায় অপ্রত্যাশিতভাবে শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখান। কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত।
গ্রেচেন হুইটমার: মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ৫১-বছর বয়সী মিজ হুইটমার গভর্নর পদে তার প্রথম মেয়াদে অপহরণ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। এরপর গত বছর খুব সহজেই তিনি পুন:নির্বাচিত হন এবং পর পর অনেকগুলো স্থানীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।
অ্যালেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ: সমর্থকদের কাছে তিনি ‘এওসি’ নামে পরিচিত। সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে এখন কংগ্রেসে কাজ করছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের একমাস আগে তার বয়স ৩৫ বছর হতে যাচ্ছে, যা প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন বয়স।
নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি আলোচনায় পণ্ডিতরা মনে করেন, সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা অথবা দু’বার ব্যর্থ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন।
তবে এরা দু’জনেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও কেউই এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ে জল্পনা-কল্পনায় যোগ দেননি।
এমনকি মিসেস ওবামা সম্প্রতি বিবিসি নিউজকে বলেছেন যে নির্বাচনের অংশ নেয়ার বিষয়টি তার কাছে সবচেয়ে অপ্রিয় প্রশ্ন।(সৌজন্যে:নুতনবার্তা)