ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খান বলেন, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা বলছি। নাম ডিজিটাল কিন্তু এটাও এক ধরনের পশ্চাৎগামিতা। সেই ডিজিটালের আড়ালে রয়েছে আরেক পশ্চাৎগামী আইন অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, যেটা হয়েছিল ১৯২৩ সালে। একটি পত্রিকার নিবন্ধন বাতিলের জন্য আমাদের নায়ক-নায়িকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দাঁড়ান। যারা তীর্থের কাকের মতো পদের দিকে, নির্বাচনের মনোনয়নের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, এই আইন মানুষের নিরাপত্তা তো দূরের কথা, মানুষের নিরাপত্তা হরণ করছে। কথা বলার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এমনকি জীবনের স্বাধীনতাও খর্ব করছে। মুশতাক ও জেসমিন জীবন দিয়েছে। সংবাদ পরিবেশন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। দেশের এই অবস্থায় যারা না খেয়ে আছে দিনমজুরেরা যারা কষ্টে আছে।তাদের এই কষ্টের জন্য যারা দায়ী, ব্যাংক লুটপাট করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে যারা মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে, আজকে তারাই দায়ী, নাকি খবর যারা ছেপেছে তারা দায়ী—এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমরা বুঝতে পারি না শাসকদের কীসে মানহানি হয়। যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, তাদের ভুলত্রুটি, অনিয়ম, দুর্নীতির সমালোচনা করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সে অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি এ আইন বাতিলের দাবি জানান।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গবেষক মাহা মির্জা, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীম আরফাত, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সংগঠক ডা. হারুনুর রশিদ প্রমুখ।