সুনামগঞ্জে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলক সুজাতের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল
প্রান্তডেস্ক:সুনামগঞ্জে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী, সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দিরাই সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সুজাত আহমেদ চৌধুরীর ১৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার। ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৪৭ সালের ৭ জানুয়ারি দিরাই উপজেলার তাড়ল গ্রামে এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সুজাত আহমেদ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন।বাবা মামদ চৌধুরী ছিলেন একজন সমাজসেবী ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।তাঁর মায়ের নাম আলতাজান চৌধুরী।
নিজ গ্রাম তাড়ল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুজাত আহমেদ চৌধুরীর শিক্ষাজীবন শুরু।মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে।১৯৬৭ সালে সুনামগঞ্জ কলেজে ভর্তি হন।সেই সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শেছাত্রলীগের পতাকা কাঁধে তুলে নেন।ঝাঁপিয়ে পড়েন ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে।তখনকার সময়ে ছাত্রলীগ করা ছিল খুবই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ।১৯৬৯ সালের ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা হিসেবে সুজাত আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে কাজ করেন আওয়ামী লীগের পক্ষে।১৯৭১ সালের ৩ মার্চ সুনামগঞ্জে তিনি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলার পতাকা।মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন এবং স্বাধীনতা উত্তর স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।স্বাধীনতার পর সুজাত আহমেদ চৌধুরী জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
সুজাত আহমেদ চৌধুরী সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।সামাজিক ক্ষেত্রেও তার রয়েছে যথেষ্ট অবদান।প্রতিষ্ঠা করেছেন দিরাই সরকারি কলেজ ও তাড়ল উচ্চ বিদ্যালয়।তাঁর লেখা ১১টি বই প্রকাশিত হয়েছে।এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘রাজনীতির তিন যুগ’ ‘বিশ্ব এবং বিবিধ প্রসঙ্গ’ ‘শতাব্দীর প্রথম যুদ্ধ’ এবং ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’।
এদিকে, সুজাত আহমেদ চৌধুরীর রূহের মাগফেরাত কামনায় তাঁর ভাতিজা সিলেট প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও তাড়ল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাউসার চৌধুরী সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।