দেশে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে: জোনায়েদ সাকি
প্রান্তডেস্ক: গণসংহতি আন্দোলনে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসেও মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সেটিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে জায়েজ করা হয়, উন্নয়ন দিয়ে জায়েজ করা হয়।
তিনি বলেন, দেশে যে শাসন ব্যবস্থা দেশে তৈরি হয়েছে, গঠনগত দিক দিয়ে এবং সাংবিধানিকভাবে স্বৈরাচারী। একে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকার একটি ফ্যাসিবাদী শাসনে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা বদলের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত যে স্বপ্ন এবং আকাঙ্খা সেটাকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানান জুনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, শাসন ব্যবস্থা বদলাতে হবে, একে গণতান্ত্রিক করতে হবে, জবাবদিহিতাপূর্ণ করতে হবে এবং তার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের, এদেশের শ্রমিকের, কৃষকের যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রধান শক্তি ছিলেন রাষ্ট্রে তাদের যে ন্যায্য হিস্যা, তাদের যে অধিকার রাষ্ট্রের ওপর তাদের যে নিয়ন্ত্রণ সেটা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার হচ্ছে তার প্রথম সংগ্রাম। ভোটাধিকার না থাকলে অন্য কোন গণতান্ত্রিক অধিকারই থাকতে পারে না। ফলে কোন অবস্থাতেই ভোটাধিকার হরণ করাকে জায়েজ করা যায় না। এর চাইতে দুঃখজনক ও লজ্জাজনক বিষয় আর কিছু থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলের জন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়ার তো কোন জায়গা নেই। বিপুল জনসমর্থন আছে। কিন্তু নির্বাচন তো নির্বাচনের মত হতে হবে। এটা যদি ১৪ সাল বা ১৮ সালের মত হয়, দিনের ভোট ডাকাতি কিংবা রাতে ভোট ডাকাতি অথবা ডিজিটাল ডাকাতি সেটাতো কোন নির্বাচন হলো না। ফলে নির্বাচন আয়োজনের যে পরিবেশ সেটা আমরা দাবি করছি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়।
সাকি বলেন, এত আত্মত্যাগ, এতো রক্তের উপর দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের রাষ্ট্র। অথচ সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস। তাদের জীবনে কিন্তু মুক্তি আসেনি, রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে অল্প সংখ্যক মানুষ ধন সম্পদের মালিক হয়েছেন। এখন বিরোধী দলের আন্দোলন ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চলছে, এই লড়াই ধাপে ধাপে আরও অগ্রসর হবে।এটা অগ্রসর হওয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। দেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনী, প্রশাসন যদি সশস্র অবস্থায় মানুষের উপরে ঝাপিয়ে পড়ে। সেটা তো যুদ্ধ অবস্থা। এখন মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তারা দেখছে। যে পর্যন্ত জয়ী না হবো লড়াই চালিয়ে যাবো।এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জুলহাস নাইম বাবু, ঢাকা জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বাচ্চু মিয়াসসহ আরও অনেকে।

