রাজনীতির বরপুত্র বাবরুল হোসেন বাবুল
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মার্চ, ২০২৩ ১:৫৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৮৭ বার পঠিত
গিয়াসউদ্দিন আউয়াল::১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিল, ‘৬৬ সালের ঐতিহাসিক ৬দফা, ‘৬৮ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সিলেটের রাজপথ কাঁপানো বাবরুল হোসেন বাবুল’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ছিলেন প্রথম সারির তুখোড় ছাত্রনেতা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে ব্যাটালিয়ান কমান্ডার হিসেবে সাহসিকতার পরিচয় দেন।
সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সকল প্রকার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন-সংগ্রামের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বাবরুল হোসেন বাবুল স্বাধীনতাত্তোর ১৯৭৩ সালে সর্বজনীন ভোটে প্রথম এবং দ্বিতীয়বার সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর সময়কালে সিলেট শহরের রাস্তাঘাটসহ নানা কর্মকাণ্ডের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। পরবর্তীতে দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু হলে তিনিই প্রথম সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।বাবরুল হোসেন বাবুল দীর্ঘকাল থেকে স্হায়ীভাবে স্বপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছেন।
বহু বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। তাঁর এই নীরবতার কারণে বর্তমান প্রজন্ম তাঁকে ভুলে যেতে বসেছে। অথচ, রাজনীতির বরপুত্র এই নেতার সরব উপস্থিতিতে একসময় সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গন ছিলো সরগরম। বঞ্চিত অবহেলিত সিলেটবাসীর ত্রাণকর্তাখ্যাত সিলেটপ্রেমিক বাবরুল হোসেন বাবুল রাজনীতির মাঠে আবার সক্রিয় হয়ে দেশ-জাতি তথা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখবেন – এই প্রত্যাশা রইলো।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ছিলো জননন্দিত এই নেতার ৭৪তম জন্মদিন। শুভেচ্ছা নিরন্তর। ১৯৪৯ সালে পিতার কর্মস্হল তৎকালীন সুনামগঞ্জ মহকুমার ছাতক থানায় তাঁর জন্ম। পিতা চৌকশ পুলিশ কর্মকর্তা মন্তাজ আলীর পৈতৃক নিবাস সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারস্হ দেউলগ্রামে।
সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য-মানসপুত্র বাবরুল হোসেন বাবুল সম্পর্কে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জানার আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমার এই নিবেদন।
মহান আল্লাহ সিলেটের প্রিয় এই বর্ষীয়ান নেতা বাবরুল হোসেন বাবুলকে সুস্থ সুন্দর দীর্ঘ জীবন দান করুন। আ-মিন।