কারাবন্দি রিজভীর অবিলম্বে মুক্তির দাবি বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের
প্রান্তডেস্ক: কারাবন্দি রুহুল কবির রিজভীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপিপন্থী পেশাজীবী নেতারা। তারা বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গুরুতর অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না।’অবিলম্বে রহুল কবির রিজভীর মুক্তি দাবি জানান নেতারা।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে’ এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সভায় সিনিয়র সাংবাদিক ও বিএফইউজের (একাংশ) সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ যারা কারাবন্দি আছেন, তাদের মুক্তি যত দিন না হবে পেশাজীবী নেতারা তত দিন রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘রিজভী আহমেদকে কষ্ট দেওয়া মানে গণতন্ত্রকে কষ্ট দেওয়া, দেশের মানুষের মানবাধিকারকে কষ্ট দেওয়া। কারাগারের ভেতর এবং কারাগার থেকে আদালতে আনা-নেওয়ার সময় রিজভীকে নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। তার মতো অসুস্থ একজন নেতাকে প্রিজনভ্যানে দাঁড় করিয়ে আনা-নেওয়া করা হয়। যা খুবই অমানবিক। সরকারের নির্দেশে কারা কর্তৃপক্ষ এমনটা করছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘সরকার মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। এটা শুধু দেশের মানুষ না, সারা বিশ্বের মানুষ জানে। সেই কারণে খালেদা জিয়া সারা পৃথিবীতে আলোকিত হয়েছেন গণতন্ত্রের মা হিসেবে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আগামীতে শেখ হাসিনার অধীনে এদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। আগে অবৈধ রাতের ভোটের সরকার শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তারপর নির্বাচন হবে।’
সভার সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া বলেন, ‘সরকার রিজভী আহমেদকে ভয় পায়, এজন্য তাকে মুক্তি দিচ্ছে না। একজন দাগি আসামিকে যেভাবে আদালতে আনা হয়, অসুস্থ রিজভী আহমেদকেও সেভাবে আনা হয় আদালতে।’
বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং রাশেদুল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক ও পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, শাহাদত হোসেন বিপ্লবসহ পেশাজীবী ও ছাত্রদলের নেতারা।