শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার নিন্দা ফখরুলের
প্রান্তডেস্ক: দেশ ব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বেপরোয়া হামলা ও নেতাকর্মীদেরকে আহতসহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার (১১ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।
এর অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকীদুর রহমান সোহান, সদর থানা যুবদলের আহবায়ক হাফেজ আহমদ মাহফুজ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমীর মোহাম্মদ, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান শিপন, জেলা জাসাস এর সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল আলম চৌধুরী শাহান, যুবদল নেতা সুহেল আহমদ, কাওছার আহমদ, নুর মিয়াসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। হামলার সাথে জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার বিগত দিনে যত ষড়যন্ত্র করেছে বা কূট কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে, এবার জনতার আন্দোলনের কাছে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হবে এবং জনতার বিজয় খুব সন্নিকটে। তাই সরকারকে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-খুন-গুম-হামলা-মামলার পথ পরিহার করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পথে হাঁটার আহ্বান জানাচ্ছি, অন্যথায় জনতার উত্তাল আন্দোলনের মাঝেই পতন নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক নির্বাচিত চেয়ারম্যান শফিকুল কাদের সুজাকে শুক্রবার রাতে নেত্রকোনা শহরস্থ কুরপাড়ের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।