পরমাণু ভবনে ধস, গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: মন্ত্রী
প্রান্তডেস্ক: পরমাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভবনে ধসের ঘটনায় গাফিলতি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার গনকবাড়িতে অবস্থিত পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ধসে যাওয়া ১২ তলা ভবনটির পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এমন তিনটি কমপ্লেক্স রয়েছে। চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহে। এটি গুরুতর নয়। সাধারণ উচ্চতা যখন বেশি হয়, তখন দুটো উচ্চতায় ট্রপিং করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা খেয়াল করেনি একটার ওপর আরেকটি ঠিকভাবে আছে কিনা। না থাকলে স্লিপ করতে পারে। আসলে ঘটনাটি এটিই হয়েছে। ছাদও ঢালাই হয়নি, কাছাকাছি কিছু ভীম ঢালাই হচ্ছিল তখনই এ ঘটনাটি ঘটে। পুরোটা দেখে বুঝেছি কিছুটা তো গাফলতি আছে।
তিনি আরও বলেন, এখন আমরা যে সিদ্ধান্ত বেঁধে দিয়েছি, সেটা হলো কনট্রাক্টর ধসে যাওয়া অংশ সব পরিষ্কার করে নতুন করে কাজ করবে। আর পরবর্তীতে প্রোপারলী কাজ করা সেটা নিশ্চিত রাখতে বলা হয়েছে। যাতে এ ধরণের অঘটন আর না হয়।
কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলেন তিনি বলেন, এখানে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমরা আজ এর জন্যই এখানে এসেছি। সব কিছু দেখলাম। আর আমার লোকজন হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখছেন।
ভবনটির কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভবন। এখানে ক্যান্সারের হাসপাতালসহ গবেষণা ও প্রশিক্ষণের কাজ করা হবে। আগে আমরা ক্যান্সার হলে শুধু পরিষ্কার করে দিতাম, কিন্তু এখানে সেই রোগের নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হবে। সব চেয়ে বড় বিষয় যে, টাকা খরচ করে আমরা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করায় সেটা অনেক অংশে কমিয়ে আনতে পারবো এ হাসপাতালের মাধ্যমে। এ সিমিলার জিনিস আমরা আরও আটটি জায়গায় করার চেষ্টা করছি। যেন এ ধরণের চিকিৎসা আমরা দিতে পারি।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল ইসলাম এনডিসি, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক দেবাশীষ পাল, পরমাণু শক্তি কমিশনের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুঞ্জুরুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পরমাণু শক্তি কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এটি পেট সিটি ও সাইক্লোট্রন স্থাপন প্রকল্প। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরমাণু শক্তি কমিশন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পরমাণু প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যান্সার রোগী নির্ণয় ও নিরাময়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের ভবন এটি।প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে ভবনটির ১২ তলা নির্মাণাধীন ছাদ ধসে যায়। এতে একজন গুরুতরসহ প্রায় সাত জন শ্রমিক আহত হয়েছে।