নারী সার্জেন্ট মোর্শেদার সহায়তায় ফুটপাতে শিশুর জন্ম
রাস্তায় শিশুর জন্ম
প্রান্তডেস্ক: ঢাকার নতুন বাজারের ফুটপাতে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক নারীকর্মী। তিনি একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ তার প্রসব বেদনা ওঠে। তাৎক্ষণিক রাস্তায় বসে পড়েন সেই নারী।
খবর শুনেই অন্য একজন নারী কনস্টেবলকে নিয়ে ছুটে যান প্রসব বেদনায় কাতরানো নারীর কাছে। বাস কাউন্টারের ছাতা নিয়ে গড়ে তোলেন নিরাপদ বেষ্টনী। কিছু সময় পর স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নেয় ফুটফুটে শিশু।
পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান রিয়েল তার পোস্টে লিখেছেন, প্রতিদিনের মতো ট্রাফিক ডিউটি করছিলেন সার্জেন্ট মোর্শেদা। দায়িত্বরত অবস্থায় ঢাকার চাকা পরিবহন কাউন্টারের একজন স্টাফ তাকে বলেন, ‘পাশেই একজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
এ কথা শোনার পর একটুও দেরি না করে তিনি দ্রুত ট্রাফিক কন্সটেবল তানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ পার হয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, সেই নারীর প্রসব ব্যথা উঠছে। তিনি অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তার পাশে মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন।
আশেপাশে কোনো ভবনও ছিল না যন্ত্রণাকাতর ওই নারীকে নেওয়ার মতো। এ অবস্থা দেখে সার্জেন্ট মোর্শেদা ও কন্সটেবল তানিয়া দ্রুত বাস কাউন্টার থেকে কয়েকটি ছাতা নিয়ে আসেন।
এ সময় চারপাশ ঘিরে দিয়ে এবং ওই নারীকে বাচ্চা প্রসবে সহযোগিতা করেন। কিছুক্ষণ পরে একটা ফুটফুটে বাচ্চা জন্ম নেয়। কিন্তু তখনও নবজাতকের নাড়ি কাটা হয়নি। সার্জেন্ট মোর্শেদা ৯৯৯-এ কল করে দ্রুত একটা ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স এনে নবজাতকসহ প্রসূতি মাকে নিকটস্থ উপশম হসপিটাল পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে ওই হাসপাতালে নবজাতক ও মা দুজনই সুস্থ আছেন।হাফিজুর রহমান রিয়েল বলেন, এরকম মহানুভবতা ও ভালো কাজের জন্য সার্জেন্ট মোর্শেদা ও কন্সটেবল তানিয়াকে ধন্যবাদ জানাই।
এ বিষয়ে নারী সার্জেন্ট মোর্শেদা গনমাধ্যমকে বলেন, আমি সড়কের যানজট কমানো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যে এক ব্যক্তি এসে জানালো নতুন বাজারে ফুটওভার ব্রিজের নিচে একজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন। আমি দ্রুত তার কাছে ছুটে যায়। যাওয়ার পর তাকে আগলে ধরি। এক পথচারী নারীকে সহায়তা করতে অনুরোধ করি। অল্প সময়ের মধ্যেই সন্তান প্রসব হয়ে যায়। পরে আমি অ্যাম্বুলেন্স কল করে পাশের উপশম হেলথ পয়েন্টে পাঠাই। আমিও মোটরসাইকেলে অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে যাই। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনই সুস্থ আছেন।