খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এসেছে
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
বিএনপির নেত্রীর পরিবারের এক সদস্য বলেছেন, বরাবরের মতো এবারও তাদের আবেদনে খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই।
সরকারের একাধিক সূত্রের ইঙ্গিত, আগের মতোই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন।
যে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে, তার প্রথমটি হলো তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং দ্বিতীয় শর্তটি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
যদিও এবারের আবেদনেও শর্ত শিথিল করে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়েছে খালেদা জিয়ার পরিবার। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।