এই দিনে:৯ মার্চ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ মার্চ, ২০২৩ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৯১ বার পঠিত
১৯৩২ সালের ৯ মার্চ ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে তিনি বাংলার অনেক অঞ্চলে ঘুরেছেন। ১৯৪৯ সালে ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৯ সালে ঢাকার সরকারি আর্ট কলেজে ভর্তি হয়ে সেখানকার শিক্ষা সমাপন করেন ১৯৫৪ সালে। কলেজের প্রিন্সিপাল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্নেহধন্য অন্তর্মুখী স্বভাবের কাইয়ুম চৌধুরী সহপাঠীদের সঙ্গে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতেই কাইয়ুম চৌধুরী বিজ্ঞাপনী সংস্থা, বইয়ের প্রচ্ছদ ও সচিত্রকরণের কাজে মনোনিবেশ করেছেন। এ সময়ে কাইয়ুম চৌধুরী ‘ছায়াছবি’ নামে একটি চলচ্চিত্র সাময়িকী যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেছিলেন। ১৯৫৭ সালে কাইয়ুম চৌধুরী ঢাকার আর্ট কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দেন। ১৯৬০ সালে তাহেরা খানমের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাহেরা ছিলেন আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়া প্রথম চার ছাত্রীর একজন। প্রচ্ছদ-পোস্টার-নকশা-সচিত্রকরণের মতোই চিত্রকর কাইয়ুম চৌধুরীর শিল্পভাষা ছিল অত্যন্ত মনোগ্রাহী এবং স্বতন্ত্র ভাষা-বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর। তেলরং, জলরং, কালি-কলম, মোমরং, রেশম ছাপ ইত্যাদি নানা মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন। জ্যামিতিক আকৃতির অনুষঙ্গ যেমন তার চিত্রকলার একটি অনুষঙ্গ, তেমনি নকশাপ্রধান চিত্রপট তার চিত্রকলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কাইয়ুম চৌধুরীর চিত্রাবলি বর্ণোজ্জ্বল; লাল, নীল, সবুজ এই তিনটি রং তিনি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করেছেন। তার ক্যানভাস প্রায়শই বর্গাকার। তার চিত্রাবলিতে লোকশিল্পসুলভ পুতুল, পাখা, হাঁড়ি, শীতলপাটি, কাঁথা ইত্যাদির পৌনঃপুনিকভাবে এসেছে। শিল্পকলায় অনন্য অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী।