দ. কোরিয়া পূজা পরিষদের নতুন কমিটির অভিষেক
প্রান্তডেস্ক:গতকাল (৬ মার্চ,সোমবার) সকাল ১১টায় দক্ষিণ কোরিয়ার আনসান সিটির সল্টি রেস্টুরেন্টে পূজা পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রণীত ও গৃহীত পরিষদের সংবিধান মোতাবেক নির্বাচিত ও নন্দিত সদস্যবৃন্দের মধ্য থেকে এ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়। পূজা পরিষদের কেন্দ্রীয় গভর্নিং বডির সর্বসম্মতিক্রমে কার্যনির্বাহী কমিটি পূর্বেই চূড়ান্ত করা হয়। এই নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি আগামী দুই বছরের জন্যে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত একজন সফল গবেষক ও অধ্যাপক ড. হাসি রাণী বাড়ৈ। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন, শ্রী সুফল দত্ত। কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সম্পাদকদের মধ্যে হলেন যথাক্রমে, শ্রীমতি তুলিকা সরকার সেনগুপ্ত (অর্থ সম্পাদক), শ্রী ড. সবুজ চন্দ্র সূত্রধর (অনুষ্ঠান ও প্রচার সম্পাদক) ও এমএ পার্থ কুমার দে (সাংগঠনিক সম্পাদক)।
অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহণের পরেই মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই অভিষেক অনুষ্ঠানের যাত্রারম্ভ হয়। প্রথমেই একটি ছোট্ট স্বাগত বক্তব্য রাখেন গভর্নিং বডির অন্যতম সদস্য শ্রী আশুতোষ অধিকারী। এরপরেই সংগঠনের কার্যক্রম, দিকনির্দেশনা ও এর পরিধি বিষয়ে একটি নাতিদীর্ঘ বক্তব্য রাখেন গভর্নিং বডির সদস্য ড. কেশব কে. অধিকারী। বক্তব্যের পরেই তিনি মঞ্চে আহ্বান জানান নবনির্বাচিত সভাপতি ড. হাসি রাণী বাড়ৈকে এবং অভ্যাগতদের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুফল দত্ত তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সভাপতি তার কার্যনির্বাহী পরিষদে সহসভাপতি হিসেবে বরণ করে নেন শ্রী শ্যাম সুন্দর কুণ্ডু ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুফল দত্তকে।
এরপরে ড. অধিকারী একে একে কার্যনির্বাহী পরিষদের সব সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দকে মঞ্চে আহ্বান জানান। নতুন কমিটির সভাপতি তার পূর্ণ প্যানেলকে ফুল দিয়ে অভিনন্দিত করেন।
দুপুরের দ্বিতীয় প্রহরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন যথাক্রমে এসকে সালেহ, এমএ পার্থ কুমার দে, সঞ্জীব গোস্বামী ও সুফল দত্ত।
দ্বিপ্রাহরিক সুস্বাদু আহার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ও নবনির্বাচিত সভাপতির সমাপ্তি ভাষণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত অভিষেক অনুসষ্ঠানের পরিসমাপ্তি টানা হয়। দ্বিপ্রাহরিক আহারের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করেন শ্রী শ্যামসুন্দ কুণ্ডু তার স্বভাবসুলভ প্রগল্ভতায়। সভাপতির সমাপ্তি ভাষণে, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, প্রবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বীবৃন্দ এই পূজা পরিষদের ছাদের তলায় স্বদেশের স্বাদ কিছুটা হলেও আস্বাদন করবেন নানান ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে। তাছাড়াও প্রবাসের নানান সমস্যায় পূজাপরিষদ যথাসাধ্য এগিয়ে আসবে সমস্যাসঙ্কুল কর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দের সহযোগিতায়। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল মতিন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। তার উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানে একটি অন্যতম বর্ণাঢ্য মাত্রা হিসেবে যুক্ত হয়। তিনিও অনুষ্ঠানে পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধ ও বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে নেবার প্রত্যয় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সবার প্রতি এই বিষয়ে গুরুত্ব আরোপের জন্যে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।পরিশেষে বিশ্বের সর্বত্র মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।