২০১৭ র ৭ই মার্চের সকালটা অন্য দিনের মতোই ছিল। কিন্তু তাল কেটে গেল এক মুহূর্তে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে। জানা গিয়েছিল দুর্ঘটনায় নাকি মৃত্যু হয়েছে সংগীত শিল্পী কালিকাপ্রসাদের। অনেকে তখন ব্যাপারটা গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ঘটনাটা মোটেও গুজব ছিলনা। সত্যি সেই ভয়াবহ এক্সিডেন্টে প্রাণ হারিয়েছিলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী।সঙ্গীতের আবহেই জন্ম হয়েছিল কালিকাপ্রসাদের। গান ছিল তাঁর বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।পরিবারের প্রত্যেক সদস্য গানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বাবা, কাকা, পিসি সকলেই গানের সাধনা করার পাশাপাশি সংগ্রহ করতেন লোকগান। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করার পাশাপাশি জমিয়ে নিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের লোকগান।‘লোকগানের রূপ, রস, গন্ধ— সব কিছুর অরিজিন্যালিটি বজায় রাখার চেষ্টা’তেই গড়ে ওঠে তাঁর গানের দল ‘দোহার’।
গবেষক কালিকা বলতেন, ‘‘আমরা লোকগান গাই। নতুন গান লিখি না বা গাই না। আমাদের গানে পশ্চিমী বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার হয় না। সেই জন্যই ‘দোহার’ গানের দল। ব্যান্ড নয়।’’শেষ বলতে হয়, মানূষের মৃত্যু অনিবার্য্য।তাৎপর্য্য ভিন্ন। যাঁরা জনগনের স্বার্থে মৃত্যু বরন করেন তাঁদের মৃত্যু থাইপহাড়ের চেয়েও ভারী,আর যারা ব্যক্তি স্বার্থে,গোষ্ঠিস্বার্থে, গনশত্রুদের স্বার্থে মৃত্যু বরনকরে-তাদের মৃত্যু বেলে হাসের পালকের চেয়ওপাতলা।লোকশিল্পী,গণমানুষের শীল্পী কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্য্যের মৃত্যুথাইপহাড়ের চেয়ে ও ভারী। আজ শীল্পী কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্য্যের৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকীতে সাপ্তাহিকও অনলাইনদৈনিক “সিলেটপ্রান্ত” ,গণমানুষের শীল্পী কালিকা প্রসাদভট্টাচার্য্যকে জানায় স্বশ্রদ্ধসালাম।