আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জামায়াতের কর্মী ও বিএনপির নেতারা জড়িত হয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানটি (সালানা জলসা) করতে বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁদের বাড়িঘরে আগুন দেন। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন দেওয়া হয়। এতে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক সদস্য মারা যান। একজন শিবির নেতা, যিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তিনিও এই ঘটনায় আহত হন। পরে মারা যান।’আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির নেতা ফজলে রাব্বী আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তাঁরা অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য এসেছিলেন। ঘটনার নেপথ্যে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে ঘটনাটি মোকাবিলা করেছে। এই মুহূর্তে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এখন মামলা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিশের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো গাফিলতি থাকলে তা অবশ্যই দেখা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’