প্রান্তডেস্ক: বেইজিং আবারও চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ‘শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের’ প্রস্তাব দিয়েছে। রোববার (৫ মার্চ) চীনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রয়োজনে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। চীনের অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায়, তাইপেই তাইওয়ানের জনগণকে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতি তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে। খবর আল-এরাবিয়া নিউজের।প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূত করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গত কয়েক বছরে চীন তাইওয়ানের চারপাশে, বিশেষ করে তাইওয়ান প্রণালীতে তার সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে।
অধিবেশনে উপস্থিত প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধির সামনে লি কেকিয়াং বলেন, ‘সরকারের উচিত তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের দলীয় নীতি বাস্তবায়ন করা এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া এবং অগ্রিম পুনর্মিলন করা। আমাদের ক্রস-স্ট্রেট সম্পর্ক শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত এবং এই প্রক্রিয়াটি চীনের শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের দিকে পরিচালিত করবে।’
গত বছরের আগস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
চীনের প্রতিরক্ষা বিষয়ে আলাদা মন্তব্যে লি কেকিয়াং জানান, চীনের সশস্ত্র বাহিনীর উচিত তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি বাড়ানো। তবে লি কেকিয়াং তাইওয়ানের প্রতি কোনো সামরিক চ্যালেঞ্জ জারি করেননি। তাইপেই চীনের প্রধানমন্ত্রীর কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
তাইওয়ানের চীন বিষয়ক ডেস্ক মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল চীনের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে জানিয়েছে, চীনকে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান মেনে নেওয়া উচিত এবং দেশটিকে মনে রাখতে হবে যে তাইওয়ান প্রণালীর কোনো দেশ কারো অধীনস্থ নয়।