ইরানে ফের বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ: ৩০টির বেশি স্কুলের কয়েক ডজন ছাত্রী হাসপাতালে
গত ১ মার্চ ইরানের মেয়েদের অন্তত ১০টি স্কুলে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনা ঘটে
প্রান্তডেস্ক:নতুন করে বিষাক্ত গ্যাস হামলায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় ইরানের পাঁচটি প্রদেশের ৩০টি বেশি স্কুলের কয়েক ডজন স্কুল ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ঘটনার সঠিক কারণ জানাতে পারেনি। তারা বলছে, ইরানকে দোষারোপ করার জন্য শত্রুরা এমনটি করছে।
গত ১ মার্চ মেয়েদের অন্তত ১০টি স্কুলে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। দেশটির গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।সর্বশেষ শুক্রবার ইরানের পশ্চিম হামেদান প্রদেশের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিমের জাঞ্জান ও পশ্চিম আজারবাইজান, দক্ষিণের ফারস এবং উত্তরের আলবোর্জ প্রদেশে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক ডজন ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তাদের সবার অবস্থা ভালো রয়েছে।
শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, তিনি গোয়েন্দামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিষ প্রয়োগের ঘটনার দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রীদের ওপর গ্যাস হামলার ঘটনাকে ‘জনসাধারণের মাঝে ভীতি ও হতাশা তৈরি করার জন্য শত্রুদের ষড়যন্ত্র’ হিসাবে অভিহিত করেন তিনি।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, বিষ প্রয়োগের তদন্ত সরকারের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের পরিবারের উদ্বেগ দূর এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে ইরানের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনুস পানাহি বলেছিলেন, মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি চক্র বিষপ্রয়োগ করছে। ইউনুস পানাহির বরাতে দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা বলে, কওমের স্কুলে বেশ কিছু ছাত্রীর বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় দেখা গেছে, সেখানকার কিছু মানুষ সব স্কুল— বিশেষ করে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করতে চেয়েছিল।
ইরানে এমন এক সময় ছাত্রীদের ওপর বিষপ্রয়োগের ঘটনা প্রকাশ্যে এলো, যখন কয়েক সপ্তাহ আগে ( ১৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর নির্যাতনে ২২ বছর বয়সী মাসা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়। ওই তরুণীর মৃত্যুর পর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এতে শত শত মানুষ নিহত হন। এছাড়া বিক্ষোভ চলাকালীন সহিংসতা সৃষ্টির দায়ে হাজারো মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্র: আল জাজিরা