শনিবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এই ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা যেমন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারি, তেমনি দুর্বার আন্দোলনও সৃষ্টি করতে পারি। আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা করছে সরকার।
তিনি বলেন, এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য আন্দোলন করতে হবে, এর কোনও বিকল্প নাই। আমরা এই সরকারের অধীনে আর কোনও নির্বাচনে যাবো না। তাদের সংলাপের টোপে আমরা পড়বো না। আমরা ইতোমধ্যেই বিএনপির সঙ্গে যুগপথ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করছি। অচিরেই বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ সরকার পতনের একদফা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থাকবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ আজও বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে শান্তি সমাবেশের নামে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। এই ধরনের কর্মসূচিকে জনগণ নার্ভাস দলের কর্মসূচি নাম দিয়েছে। সন্ত্রাস না করে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তারা ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে সমস্ত বাংলাদেশকে বিবস্ত্র করেছে। তাই তাদের বিদায় করা ছাড়া আর কোনও উপায় নাই। রোজার আগে ও পরে গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকবে। দুই ঈদের মাঝখানে গণআন্দোলন করে এই সরকারকে বিদায় করবো। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ যুগপথ আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করবো। বিজয় অর্জন ছাড়া মানুষ ঘরে ফিরবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আজ আমরা যুগপথ আন্দোলনের অংশ হিসেবে পদযাত্রা করছি। আমরা আজ এমন একটি সরকার ব্যবস্থায় আছি যারা সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণকে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। তারা কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা যায় ও নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত। তারা ভাবে তাদের হাতে দুটো অস্ত্র আছে, মানুষকে ভয়ভীতি ও হামলা মামলা করা। এবার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন, তাই আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি দিকে যাচ্ছে। যাদের জনগণ নিয়ে ভাবার কথা তারা জনগণের টাকা লুটপাট করে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছে। এখন যেকোনও সমস্যার মূলে এই অবৈধ সরকার। আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ ১৪ দফার ডাক দিয়েছি তা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে পদযাত্রা কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডির) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রা প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে সেগুনবাগিচা ঘুরে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।