মন্দিরে কোরআন রাখা সেই যুবকের ১৬ মাসের কারাদণ্ড
সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর সময় আসামি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার আইনজীবী নেই। আমি আর কি জেরা করব স্যার। আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। আমি অনুতপ্ত। আমি আর এ ধরণের অপরাধ করব না।’
এরপর আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এক বছর চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এর আগে এ মামলার আরেক আসামি রোকন মিয়াও দোষ স্বীকার করেন। আদালত তার কারাভোগকেই সাজা হিসেবে প্রদান করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়া দীঘির ওই পূজামণ্ডপে থাকা হনুমানের মূর্তির কোলে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন রাখা ছিল। তখন হনুমানের মূর্তির হাতে থাকা গদাটি পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই রাজীব হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর অহিদ মিয়া মামলাটি তদন্ত করে রোকন মিয়া ও ইকবাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ২৯ জুন দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।