‘যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক হচ্ছে মেক্সিকো’
প্রান্তডেস্ক: গণতন্ত্র, সুশাসন এবং মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ক্ষোভ নিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক হচ্ছে মেক্সিকো। মেক্সিকোর চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে দুর্বল তার প্রমাণও রয়েছে আমার কাছে।
মেক্সিকোর নির্বাচন কমিশনের সংস্কার নিয়ে সে দেশের মানবাধিকার সংস্থা, এনজিও, মিডিয়া ও সুশীল সমাজের সমালোচনার সাথে সুর মিলিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন, নির্বাচন কমিশনের বাজেট কাটছাট করার অর্থ হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বাধা। এরফলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আরো দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। একইসাথে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেদ প্রাইস সোমবার এক বিবৃতিতে অবশ্য উল্লেখ করেন, ‘আমরা মেক্সিকোর সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি।’
বাইডেন প্রশাসনের উদ্দেশ্যে মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আরো হুংকার ছেড়েছেন, ‘যদি তারা এই ইস্যুতে বিতর্ক করতে চায় তবে আসুন এটি করি। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে আমাদের দেশে আরও স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র রয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য আমার কাছে যথেষ্ট ডক্যুমেন্ট রয়েছে।’
দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কে এমন উত্তেজনা তৈরী হয় গত সপ্তাহে মেক্সিকো সিনেটে পাশ হওয়া একটি বিলের পরিপ্রেক্ষিতে। সেটি আইনে পরিণত হলে নির্বাচন কমিশনের বাজেট কমে যাবে, কর্মচারিরাও বেতন পাবেন কম। একইসাথে ভোট কেন্দ্রগুলি তদারকির জন্য যারা কাজ করেন তাদের ট্রেনিং সংকুচিত হবে অর্থাৎ সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্তগুলোর বিলুপ্তি ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এমনকি, নির্বাচনের প্রার্থীর মধ্যে যারা ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে প্রদানে ব্যর্থ হয় অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রাখে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করাও সম্ভব হবে না বাজেট না থাকলে।
উল্লেখ্য, মেক্সিকো নির্বাচন কমিশন সংস্কারের ঐ বিলের প্রতিবাদে ক’দিন থেকেই মেক্সিকো সিটিতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ হচ্ছে।
কথিত সুশীল সমাজ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের এমন আশংকা অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট। তিনি দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের ব্যবস্থাটি কোনোভাবেই গণতন্ত্রের জন্য হুমকি নয়। তিনি উল্লেখ করেছেন, এ ধরনের সমালোচনা আসছে এক ধরনের মানুষের কাছে থেকে যারা কোনো কাজের নন, শুধু সমালোচনায় ব্যস্ত। এলিট শ্রেণীর লোক হিসেবে এরা পরিচিত। প্রেসিডেন্ট লোপেজ উল্লেখ করেছেন, বাজেট কর্তনের সুফল পাবে গরীব মানুষ।