পুতিনের বিচার দাবি করলেন নোবেলজয়ী ওলেকসান্দ্রা
প্রান্তডেস্ক:রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিচার করতে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ওলেকসান্দ্রা মাতভিচুক। আগ্রাসন চালানোর সঙ্গে জড়িত পুতিন এবং তার সহযোগীদের বিচারের জন্য দ্রুততার সঙ্গে এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানান তিনি। দাবি করেন ক্রেমলিনের আগ্রাসী শক্তি যে নৃসংশতা চালাচ্ছে তার ওপর এতে একটি হিম প্রভাব পড়তে পারে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন গার্ডিয়ান। সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজের প্রধান ওলেকসান্দ্রা মাতভিচুক। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং সেনাদের বিরুদ্ধে দ্রুতগতির যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হলে তাতে রাশিয়ান বাহিনীর আরও অপরাধ সংঘটন কমে আসবে। তারা যে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ইউক্রেনে, তা কিছুটা হলেও কমে আসবে। গার্ডিয়ানের সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ওলেকসান্দ্রা। বলেন, সবাই নয়, সম্ভবত কিছু সেনা এটা বুঝতে পারবেন যে, পুতিনের স্বৈরাচারী ক্ষমতা একদিন শেষ হবে। আর এসব অপকর্মের জন্য তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে।তারা এটা বুঝতে পারলে মনে করবেন যে বিমূর্ত পুতিনের আড়ালে থাকতে সক্ষম হবেন না তারা। তারাও বিচারের মুখে দাঁড়াবেন।
২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার জেতে ওলেকসান্দ্রা মাতভিচুকের সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ (সিসিএল), রাশিয়ার মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন মেমোরিয়াল এবং বেলারুশের জেলবন্দি অধিকারকর্মী অ্যালেস বাইয়ালিয়াতস্কি। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর ইউক্রেনে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে সিসিএল। ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া, স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কে আগ্রাসন চালিয়ে তা দখলে নেয়ার পর সেখানে কমপক্ষে ২৬,০০০ যুদ্ধাপরাধের ঘটনা প্রামাণ্য হিসেবে ধারণ করেছে সিসিএল।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভভিত্তিক ওলেকসান্দ্রা মাতভিচুক। তিনি দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জবাবদিহিতার ফারাক নিয়ে সোচ্চার। পুতিন, তার রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে অপরাধ সংঘটনের কারণে তাদের বিচারের জন্য ইউক্রেন সরকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। সেই প্রস্তাবের সমর্থক ওলেকসান্দ্রা মাতভিচুক। এ ধারণা নিয়ে আলোচনা করছেন ইউক্রেনের মিত্ররা। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় রয়েছে। এ মাসের শুরুর দিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতে আগ্রাসনের মাধ্যমে অপরাধের বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সেন্টার অপারেশন শুরুর কথা আছে জুলাই থেকে।