ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা
প্রান্তডেস্ক: চলতি বছর ডেঙ্গুজ্বরে পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে এডিস মশার উপদ্রব বাড়বে বলে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তখন ডেঙ্গুজ্বর বাড়তে পারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
গত দুই মাসে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার কামড়ে ৭৩০ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৬ জন। ঢাকায় ১০ জন ও ঢাকার বাইরে ১৬ জন ভর্তি আছে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশার কামড়ে নতুন করে আরও ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান জানান, এখন কিউলেক্স মশার উপদ্রব চলছে। এই মশার কামড়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলে এডিস মশার উপদ্রব বেড়ে যাবে। তখন পরিস্থিতির আরও মারাত্মক অবনতি হবে। আর চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়তে পারে। তাই এখনই মশা দমনে প্রস্তুতি নেয়া দরকার বলে মত দেন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাসে হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ছাড়পত্র নিয়েছে ৬৯৫ জন। অন্যরা এখনও ভর্তি আছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে এবং ওয়াসার পানির মিটারের গর্তে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার হচ্ছে। ওইসব স্পটে যাতে পানি না জমে তার জন্য এখনই সচেতন থাকতে হবে। আর মশা দমনে এখন থেকে পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালজুড়ে ছিল ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার দাপট। প্রতিদিন এডিস মশার কামড়ে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাও গেছে।
গেল বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৯ হাজার ২২০ জন ও ঢাকার বাইরে ২৩ হাজার ১৬২ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২৮১ জন।