জোটের মধ্যে থাকা রাজনৈতিক সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ নাগরিক জোট (বিএনজে), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন, বাংলাদেম বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী-ননপ্রবাসী কল্যাণ দল ও বাংলাদেশ ট্রাস্ট পার্টি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন এই জোট ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করলেও এখন পর্যন্ত জোটের আওতাধীন শরীক দলগুলোর কারোর নিবন্ধন নেই।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তৃণমূল ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টির চেয়ারপার্সন জুলিয়া আক্তার বলেন, ‘১৯৭১ সালে যে প্রত্যয় নিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, সেটি আজও মানুষের ভাগ্যে জোটেনি। সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় আজ কঠিন সংকটে পতিত হয়েছে। লাগামহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও জবাবদিহিহীন জনপ্রতিনিধির জনশাসন যেন জনশোষণে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণ আজ দিশেহারা, হতাশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও সুশাসনের বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু পেয়েছি চোর, সিন্ডিকেট, জবাবদিহিহীন সরকার ও প্রশাসন। নাগরিকদের ভোটাধিকার আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে৷ লাগামহীন দুর্নীতি আর নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধিতে উন্নয়ন আজ প্রশ্নবিদ্ধ।’
তাই জাতির এসব সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জবাবদিহি সরকার গঠনের লক্ষ্যে তৃণমূল্য ঐক্যজোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে বলে জানান জুলিয়া আক্তার।
এই আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ঐক্যজোটের সমন্বয়কারী এইচ সিদ্দিকুর রহমান খোরশেদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনজের মহাসচিব মো. আবুল বাশার, বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ আসাদুল হক, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের মহাসচিব মো. তোফাজ্জল হক, বাংলাদেশ ট্রাস্ট পার্টির মহাসচিব হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দলের মহাসচিব অ্যাড. সাহাবউদ্দিনসহ জোটের নেতাকর্মীরা।