মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ রায় দেন। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সোলাইমান জামালপুর জেলার গড়পাড়া এলাকার লিচু আকন্দের ছেলে। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিলকিস (২০) পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা এলাকার নয়া হাওলাদের মেয়ে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাকসুদা আহামেদ জানান, আসামি বিলকিসের সঙ্গে সোলাইমানের পরকীয়া প্রেম গড়ে ওঠে। এর জের ধরে তারা দুজনের মিলে ভিকটিম মরিয়মকে (০১) হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য একটি দেয়ালের বাউন্ডারির ভেতরে রেখে দেয়। পুলিশ অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার করে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তারা দুজন এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে ১৩ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি সোলাইমানকে মৃত্যুদণ্ড ও বিলকিসকে আমৃত্যু কারদণ্ড দেন আদলত। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় প্রদাণ করেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার পশ্চিম নন্দলালপুর নাককাটা বাড়িস্থ শংকর বাবুর চারতলা ভবনের বাউন্ডারির দেয়ালের ভেতরে দক্ষিণ পাশ থেকে মরিয়মের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।