রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালতে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এ দিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী জেরার জন্য ৬ মার্চ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তার জবানবন্দি শেষ হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদ সালাম ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যান। বিকাল ৫টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করা হয়। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ওইদিনই রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে, ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সগিরার ভাসুরসহ চার জনকে আসামি করে এক হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। এরপর একই বছরের ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
মামলার আসামিরা হলেন– নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।