চীনের শান্তি প্রস্তাবে আলোচনায় বসতে চান জেলেনস্কি
প্রান্তডেস্ক:ইউক্রেইন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে বেইজিংয়ের দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন।
রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণের বর্ষপূর্তির দিন শুক্রবার তিনি বলেন, প্রস্তাবটি ইঙ্গিত দিয়েছে চীন শান্তির অনুসন্ধানে রত আছে ।
“আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে চাই যে চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না,” বলেছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, চীনের পরিকল্পনায় শান্তির জন্য বৈঠকের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের কথা আছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ওই ১২ দফা প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি ও উত্তেজনা ক্রমশ হ্রাস করার কথা বিস্তৃতভাবে বলা হয়েছে, কিন্তু তাতে রাশিয়াকে ইউক্রেইন থেকে অবশ্যই সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এমন কথা নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি আর এতে ‘নিষেধাজ্ঞার একতরফা’ ব্যবহারের নিন্দা জানানো হয়েছে; যাকে পরোক্ষভাবে ইউক্রেইনের পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনা বলে দেখা হচ্ছে।
“সংঘাত ও যুদ্ধে কারও লাভ নেই। সব পক্ষেরই যুক্তিসঙ্গত ও সংযত আচরণ করা উচিত, উচিত উত্তেজনা বৃদ্ধি ও আগুনে ঘি ঢালা বন্ধ করা এবং এই সংকট যেন আরও নাজুক হয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সেদিকে নজর দেওয়া,” বলা হয়েছে চীনের মন্ত্রণালয়টির ওই নথিতে।
শি-য়ের সঙ্গে জেলেনস্কির শীর্ষ বৈঠকের আহ্বানে চীনের কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত প্রকাশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইতোমধ্যে রাশিয়া চীনের শান্তি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “বেইজিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে আমাদের মিল আছে।”
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই-র মস্কো সফরের পর বেইজিং এই শান্তি প্রস্তাব দেয়। ওয়াং বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ওয়াংয়ের এসব বৈঠকের পর তাকে উদ্ধৃত করে চীনর রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, বেইজিং মস্কোর সঙ্গে ‘রাজনৈতিক আস্থা গভীর করে তুলতে’ এবং ‘কৌশলগত সহযোগিতা শক্তিশালী’ করতে চায়।
বিবিসির বিশ্ব বিষয়ক সম্পাদক জন সিম্পসন বলেছেন, চীন রাশিয়ার পাশে আছে বলে মনে হচ্ছে, তারা ‘মুখরক্ষা ধরনের’ শান্তি চুক্তি করে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উদ্ধারের একটি পথ খুঁজছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছিলেন, বেইজিং রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। ব্লিনকেনের এ দাবি বেইজিং জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।
শুক্রবার মার্কিন গণমাধ্যম ফের প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, চীন সরকার রাশিয়াকে ড্রোন ও কামানের গোলা পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে।